নিজেদের গড়া পিচে অস্ট্রেলিয়া রীতিমত বিধ্বস্ত হয়েছে। জাসপ্রীত বুমরাহ একাই যেন চালালেন ধ্বংসযজ্ঞ। সময়ের সেরা থেকে অনেকেই তাকে দেখে ফেলছেন সর্বকালের সেরাদের তালিকায়। ভারতের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের দুই কার্যকরী স্পেলে ভারত পেয়েছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বোচ্চ ব্যবধানের জয়। পার্থে অজিদের তারা হারিয়েছে ২৯৫ রানের ব্যবধানে।
কিন্তু এখানেই যদি ভারত নিজেদের সিরিজ জয়ের জন্য দাবিদার করে নেয় তবে খুব একটা বাড়াবাড়ি হয়না। অন্তত অতীত ইতিহাস যে এখন ভারতের হয়েই কথা বলবে। অজিদের প্রায় দেড়শ বছরের টেস্ট ইতিহাসে কেবল ৮ বারই তারা সিরিজের প্রথম ম্যাচ হারার পর সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজ জয় করেছে। যার সবশেষটাও এসেছে ১৯৯৭ সালে। আর ভারতের বিপক্ষে এমন নজির নেই তাদের।
এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া খেলেছে ২৪০ টেস্ট সিরিজ। জয় পেয়েছে ১৩৪টিতে। তবে এর মাঝে পিছিয়ে থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর নজির একেবারেই কম। এদের মধ্যে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই এই কীর্তি আছে ৭বার। ১৮৯৭-৯৮, ১৯০১-০২, ১৯০৯, ১৯৩০ এবং ১৯৩৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাশেজ সিরিজে এই কীর্তি ছিল তাদের।
এরপর অনেকটা দিন বিরতি দিয়ে ১৯৬৮-৬৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ফ্র্যাংক-ওরেল ট্রফিতে এমন কিছু করে দেখায় অস্ট্রেলিয়া। এরপর সবশেষ ১৯৯৭ সালে আবারও অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পিছিয়ে পড়ে শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হয়ে ট্রফি ঘরে তোলে।
ভারতের বিপক্ষে হারটা একপ্রকার তাই সতর্কবার্তা হয়েই থাকছে অস্ট্রেলিয়ার জন্য। এই ম্যাচে নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে ব্যাটিং প্রদর্শনীও করেছে তাদের টপঅর্ডার। দুই ইনিংস মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ৬ জন ব্যাটার ১২ বারের মধ্যে ৭ বারই আউট হয়েছেন একক অঙ্কের ঘরে।
এখানেই থামছে না তাদের ব্যর্থতার কীর্তি। দুই ইনিংস মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ ৪ ব্যাটার তুলেছেন মোটে ২৯ রান। যা অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে কম। ভেঙেছে ১৩৬ বছরের আগের লজ্জা। ১৮৮৮ সালে ম্যানচেস্টারে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ইনিংস মিলিয়ে মোটে ৩৮ রান তুলেছিল অস্ট্রেলিয়ার টপঅর্ডার।
খুলনা গেজেট/এএজে