আগামী ২৬ জুলাই থেকে শুরু হতে যাচ্ছে খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) কোরবানীর পশুর হাট। এবারও খুলনা নগরীর জোড়াগেট পাইকারি কাঁচা বাজারে এই হাট বসবে। খুলনা জেলার সবচেয়ে বড় এই হাট চলবে ঈদের দিন সকাল ৮টা পর্যন্ত।
করোনা সংক্রমণের কারণে এ বছর কোরবানীর পশুর হাট নিয়ে নানা শংকা তৈরি হয়। মানুষের আয় কমে যাওয়ায় কোরবানীর পশু বিক্রি নিয়েও তৈরি হয়েছে উদ্বেগ। এসব কিছু মাথায় নিয়েই হাট শুরুর প্রস্তুতি শুরু করেছে কেসিসি। বিশেষ করে হাটে গরু-ছাগলের আমদানি ও ক্রেতা উপস্থিতি বাড়াতে ব্যাপক তোড়জোড় শুরু হয়েছে।
কেসিসির বাজার সুপার সেলিমুর রহমান জানান, অনেকেই ভাবছেন হাটে পশুর আমদানি ও ক্রেতা কম হবে। কিন্তু আমাদের কাছে মনে হচ্ছে হাট শুরু কয়েকদিন পরেই পর্যাপ্ত কোরবানীর পশু ও ক্রেতা আসবে। গরুর খামারী ও ব্যবসায়ীদের হাটে আনতে তাই প্রচার কাজ চলছে।
তিনি জানান, ইতোমধ্যে খুলনা ও পার্শ্ববতী বিভিন্ন উপজেলার পশুর হাটে পোস্টার ও ব্যানার টানানো হয়েছে। নিয়মিত খামারী ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। হাটের বিষয়ে নগরবাসীকে জানাতে নগরীর দুটি দুই অঞ্চলে প্রচার মাইক কাজ শুরু করেছে। নগরীর শহরের ৪৮টি পয়েন্টে ব্যানার ও পোস্টার টানানো হয়েছে। সামনে আরও পরিকল্পনা রয়েছে।
কেসিসির হাট পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক কাউন্সিলর শামসুজ্জামান মিয়া স্বপন জানান, হাটে মানুষের নিরাপত্তাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হাটে মাস্ক ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। হাটে প্রবেশের আগে সবাইকে সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে প্রবেশ করতে হবে। এবার হাটে রুজবেল্ট জেটি দিয়ে গরু প্রবেশ করবে, বের হবে জোড়াগেট দিয়ে। মানুষের প্রবেশ ও বের হওয়ার পৃথক রাস্তা থাকবে। প্রবেশ পথে থাকবে একাধিক জীবানুনাশক টানেল।
প্রসঙ্গত, প্রতিবছর পর কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে নগরীর জোড়াগেট পাইকারী কাঁচা বাজার চত্বরে পশুর হাট বসায় কেসিসি। এটাই খুলনার সব চাইতে বড় পশুর হাট। গতবছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে এই হাটে ৭ হাজার ৮০৫টি পশু বিক্রি হয়েছিল। এর মধ্যে ৬ হাজার ১৪৪টি গরু এবং ১ হাজার ৬৫৬টি ছাগল এবং ৬টি ভেড়া। এ থেকে কেসিসির রাজস্ব আদায় হয়েছিল ২ কোটি ৮ লাখ ৯ হাজার ৯৫৫ টাকা।
খুলনা গেজেট/এমএম