খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার সুগন্ধীতে নির্মিত হতে যাচ্ছে ‘দিঘলিয়া টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ’। ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি নির্মিত হলে পিছিয়ে পড়া এ এলাকার কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটবে। তৈরি হবে দক্ষ মানবসম্পদ। বিদেশি শ্রমবাজারে যুবসমাজের অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি হবে।
জানা যায়, সারাদেশে উপজেলা পর্যায়ে এই জাতীয় আরো ৩২৯ টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপন (২য় পর্যায়) শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। যেটি ২০২০ সালের ২১ জানুয়ারি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)’র সভায় অনুমোদন পায়। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২০ হাজার ৫২৫ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা।
আরও জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)’র সভায় অনুমোদন পাওয়ার ক্ষেত্রে দিঘলিয়ার কৃতি সন্তান প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। ইতোমধ্যে দিঘলিয়া টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ নির্মাণের জন্য উপজেলার দেবনগর মৌজার ৩ একর জায়গা অধিগ্রহণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। চলতি মাসের ৩ নভেম্বর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর (ইইডি) থেকে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি নির্মাণের জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪ কোটি টাকা। এরমধ্যে ২২ কোটি টাকা টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে ওয়ার্কশপসহ ৫ তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ, ৪ তলা বিশিষ্ট প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ, এক তলা সার্ভিস এরিয়া নির্মাণ, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, ভূমি উন্নয়ন এবং গভীর নলকূপ স্থাপন। বাকি ২ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে সীমানা প্রাচীর ও প্রতিষ্ঠানটির প্রধান ফটক তৈরীর জন্য।
দক্ষ মানবসম্পদ তৈরীতে কারিগরি শিক্ষার কোন বিকল্প নেই, বিষয়টি উপলব্ধি করে বর্তমান সরকার ইতিপূর্বে প্রথম পর্যায়ে দেশের ১০০ টি উপজেলায় ১টি করে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপন শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩২৯ উপজেলায় টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। উদ্দেশ্য এসব প্রতিষ্ঠানসমূহে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি ১টি করে কারিগরি বিষয় অন্তর্ভুক্তির প্রয়োজনীয় সুবিধা সৃষ্টিকরণ। এসএসসি (ভোকেশলার) ও এইচএসসি (ভোকেশনাল) কোর্স চালু করার মাধ্যমে দেশব্যাপী কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার সম্প্রসারণ। কর্মক্ষম যুবকদের দেশে ও বিদেশে বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ চাকুরির বাজারের চাহিদার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলা। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবিকা সংস্থাপনের লক্ষে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা। ৪ টি ট্রেড ও ৪ টি স্বল্পমেয়াদী প্যারাট্রেড কোর্স চালু করা।
প্রতিষ্ঠানটি নির্মিত হলে এই এলাকার কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রসারের পাশাপাশি আর্থসামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক প্রসার ঘটবে বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা।
খুলনা গেজেট/ টি আই