খুলনা, বাংলাদেশ | ২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৬ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  গোপালগঞ্জে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ৩০
  ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা : আপিল বিভাগে ফের শুনানি ২৬ মে

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা : আপিল বিভাগে ফের শুনানি ২৬ মে

গেজেট ডেস্ক

্২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় আগামী ২৬ মে আপিল বিভাগে পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য এই দিন ধার্য করেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় সব আসামির খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে শুনানি শুরু হয়। এদিন শুরুতেই শুনানি করে রাষ্ট্রপক্ষ।

গত ১ ডিসেম্বর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট। ডেথ রেফারেন্স নাকচ করে এবং আসামিদের করা আপিল মঞ্জুর করে ওই রায় দেয়া হয়।

রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, শুধু স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে অন্য আসামিদের সাজা দেয়া যায় না। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে ষড়যন্ত্রও প্রমাণ করা যায় না। দ্বিতীয় চার্জশিট আমরা আমলে নিতে পারছি না। কারণ, এই মামলায় দ্বিতীয় চার্জশিটের ক্ষেত্রে ‘১৯১বি’ প্রযোজ্য হয়নি। দ্বিতীয় চার্জশিট আইনের দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ, সেটি শুধু মুফতি হান্নানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে দেয়া হয়েছিল।

আদালতে লুৎফুজ্জামান বাবর, আবদুস সালাম পিন্টুসহ দণ্ডিত কয়েকজনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও মোহাম্মদ শিশির মনির। রায়ের পর আইনজীবী এস এম শাহজাহান বলেছিলেন, মুফতি হান্নানের প্রথম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে প্রথম চার্জশিট দেয়া হয়েছিল। সেখানেও জবানবন্দির বাইরে অন্য কোনো তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

এই আইনজীবী আরও বলেছিলেন, দ্বিতীয় চার্জশিটে তারেক রহমান ও লুৎফুজ্জামান বাবরসহ যাদের আনা হয়েছিল, তাদের বিষয়েও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ছাড়া আর কোনো প্রমাণ নেই। আর দুই জবানবন্দিই মুফতি হান্নান জীবদ্দশায় প্রত্যাহার করে গেছেন। ফলে প্রত্যাহার করা জবানবন্দি এবং পরবর্তীতে আর কোনো প্রমাণ না থাকায় সাজা দেয়া যায় না। এমনকি যে আসামি জবানবন্দি দিয়েছেন, বেঁচে থাকলে তাকেও সাজা দেয়া যেত না।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আওয়ামী লীগের ২৪ নেতা-কর্মী নিহত হন। আলোচিত ওই ঘটনার পর হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দু’টি মামলা হয়।

২০১৮ সালে বিচারিক আদালত দু’টি মামলারই রায় দেন। রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড ছাড়াও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন ও ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। এছাড়া রায়ের পর মামলার সব নথি পাঠানো হয় হাইকোর্টে।

অন্যদিকে কারাগারে থাকা দণ্ডিতরা পৃথক জেল আপিল ও নিয়মিত আপিল করেন। পরবর্তীতে ২০২২ সালে এই মামলার আপিল শুনানি শুরু হয়েছিল। তবে বেঞ্চ ভেঙে যাওয়ায় পরবর্তীতে তা শেষ করা যায়নি। এজন্য নতুন করে আবারও শুনানি হয়।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!