হজের আনুষ্ঠানিক নিবন্ধন শেষ হয়েছে গত ৬ ফেব্রুয়ারি। এখন অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শুরু করতে যাচ্ছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে হজের জন্য নিবন্ধন করেছেন ৮৩ হাজার ১৫৫ জন। তাদের মধ্যে যারা ২ লাখ ৫ হাজার টাকা জমা দিয়ে নিবন্ধন করেছেন তাদের আগামী ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাকি টাকা জমা দিতে বলা হয়েছে।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, সৌদি সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমের হজযাত্রীদের জন্য মিনায় তাঁবু গ্রহণ, মোয়াল্লেম গ্রহণ, বাড়ি বা হোটেল ভাড়া, পরিবহন চুক্তি প্রভৃতি আবশ্যিকভাবে সম্পন্ন করতে হবে। এ কারণে ২০২৪ সালে ২ লাখ ৫ হাজার টাকা জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধনকারী হজযাত্রীদেরকে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নিবন্ধনের অবশিষ্ট টাকা জমা দিতে হবে।
চলতি বছর চতুর্থ দফা সময় বাড়িয়েও হজের নির্ধারিত কোটা পূরণ হয়নি। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৮৩ হাজার ১৫৫ হজযাত্রী। ফলে সৌদি আরবের দেওয়া ৪৪ হাজারের বেশি কোটা খালি রেখেই এবারের হজের নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হয়েছে। এ কোটা এখন সৌদি আরবকে ফেরত দেওয়া হবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, নিবন্ধন শেষে এখনও কোটা খালি রয়েছে ৪৪ হাজার ৪৩টি। এ বছর বাংলাদেশের জন্য এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮টি কোটা নির্ধারণ করে দেয় সৌদি আরব। এর মধ্যে সরকারিভাবে হজে যেতে নিবন্ধন করেছেন চার হাজার ২৬০ জন। বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন। সবমিলিয়ে মোট নিবন্ধন করেছেন ৮৩ হাজার ১৫৫ জন। বাকি ৪৪ হাজার ৪৩টি কোটা ফেরত যাবে।
এবার হজের নিবন্ধন শুরু হয় ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর, যা ১০ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল। প্রত্যাশিত সাড়া না মেলায় প্রথম দফায় সময় বাড়ানো হয় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এরপর দ্বিতীয় দফায় ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হয়। তৃতীয় দফায় ২৫ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় বাড়ায় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এতেও হজ নিবন্ধনে কাঙ্ক্ষিত সাড়া না মেলায় শেষ দফায় ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হয়।
চলতি ২০২৪ সালে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার দুটি প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সর্বনিম্ন প্যাকেজের মূল্য পাঁচ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা। বিশেষ প্যাকেজের মূল্য নয় লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা। অপরদিকে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় দুটি প্যাকেজের মূল্য যথাক্রমে পাঁচ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা এবং আট লাখ ২৮ হাজার ৮১৮ টাকা। যদিও গত বছরের চেয়ে এ বছর সর্বনিম্ন প্যাকেজের মূল্য এক লাখ চার হাজার ১৬০ টাকা কমানো হয়েছে। এরপরও বর্তমান হজ প্যাকেজের মূল্যকে অনেক বেশি মনে করছেন হজে যেতে আগ্রহীরা।
উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা-সাপেক্ষে চলতি বছরের ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে।
খুলনা গেজেট/এনএম