বিশ্বকাপে নিজেদের সব ম্যাচ শেষ করে এখন অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে বাংলাদেশকে। এ দুই দলের একটিও যদি সুপার টুয়েলভ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচটি জিততে পারে, তাহলে আগামী বিশ্বকাপে আর প্রথম পর্বে খেলতে হবে না বাংলাদেশ দলকে।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, চলতি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে ওঠা ১২টি দলই সরাসরি খেলবে ২০২২ সালের অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে। এর মধ্যে এবারের আসরের চ্যাম্পিয়ন-রানার্সআপ এবং এ দুই দলকে বাদ দিয়ে আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত র্যাংকিংয়ের শীর্ষ ছয় দল সরাসরি সুযোগ পাবে আগামী বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে।
অর্থাৎ আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত র্যাংকিংয়ের শীর্ষস্থানীয় আটটি দল সরাসরি খেলবে আগামী বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে। বাকি চার দল আসবে এবারের মতোই প্রথম পর্ব খেলে। এবার যেমনটা হয়েছে বাংলাদেশ, স্কটল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও নামিবিয়ার বেলায়। আর এ সুযোগটি কাজে লাগানোর জন্যই এখন নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপ শুরুর আগে র্যাংকিংয়ের ছয় নম্বরে ছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু বিশ্বকাপে আট ম্যাচের মধ্যে ছয়টিতে হেরে ২৩৪ পয়েন্ট নিয়ে নেমে গেছে নয় নম্বরে। তবে সাত ও আট নম্বরে থাকা আফগানিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান খুব বেশি নয়। এটিই মূলত বাংলাদেশের জন্য আশার বিষয়।
সাতে থাকা আফগানিস্তানের রয়েছে ২৩৫ পয়েন্ট। বাংলাদেশের সমান ২৩৪ পয়েন্ট থাকলেও ভগ্নাংশের ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় আট নম্বরে রয়েছে বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চলতি আসরের সুপার টুয়েলভে দুই দলেরই বাকি রয়েছে একটি করে ম্যাচ। যেখানে তাদের এক দলও হারলেই কাজ হয়ে যাবে বাংলাদেশের।
শনিবার বিকেল ৪টায় অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অস্ট্রেলিয়া জিতলে নিশ্চিতভাবেই পয়েন্ট কমবে ক্যারিবীয়দের। যা বাংলাদেশকে তুলে দেবে আট নম্বরে। পরদিন বিকেল ৪টায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে আফগানিস্তান। এই ম্যাচে কিউইদের জয় পয়েন্ট কমাবে আফগানদের। ফলে এগুবে বাংলাদেশ।
তাই এখন আগামী বিশ্বকাপে প্রথম পর্ব এড়িয়ে সুপার টুয়েলভে খেলার জন্য বাংলাদেশকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের দিকে। এ দুই দল যদি ওয়েস্ট ইন্ডিজ বা আফগানিস্তানকে হারিয়ে দিতে পারে, র্যাংকিংয়ের সেরা আটে থাকার সুবাদে আগামী বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভ থেকে শুরু হবে বাংলাদেশের যাত্রা।