তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাবর আজমের সেঞ্চুরিতে জয় পেয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু দ্বিতীয় ওয়ানডেতে স্বাগতিকদের দেয়া বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ফখর জামান করেন ১৯৩ রান! কিন্তু তার এই দুর্দান্ত ইনিংসটি দুর্ভাগ্যবশত পাকিস্তানের জয় এনে দিতে পারেনি।
রবিবার জোহানেসবার্গে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৪১ রানের বিশাল রান করে। এই রান তাড়া করতে নেমে ১৯৩ রানের এক অবিশ্বাস্য ইনিংস উপহার দেন ফখর জামান। কিন্তু অন্য ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় পাকিস্তান ৯ উইকেট হারিয়ে ৩২৪ রান সংগ্রহ করে। ফলে ১৭ রানের জয় তুলে নিয়ে সিরিজে সমতায় ফিরে প্রোটিয়ারা।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে কুইন্টন ডি কক (৮০), অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা (৯২) রানে শুরুটা দুর্দান্ত করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে ইতিবাচক শুরু এনে দিয়েছেন এইডেন মার্করামও (৩৯)।
কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রায় সাড়ে তিনশ’ রান এনে দিয়েছেন প্রথম ম্যাচের সেরা দুই ব্যাটসম্যান। সেদিন সেঞ্চুরি করা রাসি ফন ডার ডুসেন আজ ৩৭ বলে তুলেছেন ৬০ রান। ডেভিড মিলারের অপরাজিত ফিফটির ইনিংসটি ছিল ২৭ বলের। ফলে ৬ উইকেটে ৩৪১ রানের বড় সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
বড় লক্ষ্যে তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ইমাম উল হক বিদায় নেন। এরপর ৬৩ রানের জুটি গড়ে বাবর আজম ৩১ রান করে বিদায় নেন। এরপর দলকে ৭১ রানে রেখে মোহাম্মদ রিজওয়ানের বিদায়ের পর তো ম্যাচের ভাগ্য লেখা হয়েই গিয়েছিল। ক্ষণিক পর পরই উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান। ১২০ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় সফরকারীরা। কিন্তু ফখর জামান হার মানেননি।
আসিফ আলীকে নিয়ে ৬৬ রানের জুটি গড়ে শুরুটা করেছেন। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে আসিফের অবদান মাত্র ১৯। অবশ্য পরের জুটিগুলোতে ফখরের একক আধিপত্য আরও স্পষ্ট হয়েছে। আসিফ যখন আউট হয়েছেন, তখনো ১৬ ওভারে ১৫৬ রান দরকার ছিল পাকিস্তানের। ফখর সঙ্গী হিসেবে পাননি কাউকে। তবু শেষ ৪ ওভারে মাত্র ৫৬ দরকার ছিল পাকিস্তানের। কিন্তু ফখর জামান একপ্রান্ত আগলে রাখলেও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১৯৩ রান করে রান আউটের শিকার হন ফখর জামান।
১৫৫ বলে ১৮ চার ও ১০ ছক্কার অনবদ্য ইনিংসের জন্য ম্যাচ সেরার পুরস্কার অবশ্য ফখর জামানের হাতেই উঠে।
খুলনা গেজেট/কেএম