নগরীর খানজাহান আলী থানার দক্ষিণ শিরোমণি ইমাম বাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে দীর্ঘ ১৭ বছরেও কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। বিদ্যালয়টি নানামুখী সমস্যায় জর্জরিত এবং ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থাতেই শিক্ষাদান কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে।
২০০৩ সালে ৪ রুম বিশিষ্ট টিন সেডের বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ে ৪ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিশুশ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত মোট ১২২ জন শিক্ষার্থী আছে। বেড়া বিহীন ১টি পাকা ওয়াল দেয়া টিনের ছাউনি। টিনের ছাউনিতে বর্ষার মৌসুমে পানি পড়ে, এসময় ছাত্র ছাত্রীদের দাঁড়িয়ে ক্লাস করতে হয়।
স্কুল সংলগ্ন পাশ্ববর্তী ৩টি গাছ স্কুলের ওয়ালের সাথে লাগানো থাকায় আরোও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যেকোন মুহুর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। শিক্ষার্থীদের বসার পর্যাপ্ত বেঞ্চও নাই। সাড়ে ২৩ শতক জমির উপর স্কুলটি ৪ রুম বিশিষ্ট টিনসেডের ভিতরে একটি মাত্র অফিস রুমে এবং লাইব্রেরীতে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বসার ব্যবস্থাও নাই।
এলাকার দরিদ্র ছেলে মেয়েরা এই বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করে। প্রায় ২ কিলোমিটারের ভিতর আর কোন প্রাথমিক বিদ্যালয় নাই, ফলে ছেলে মেয়েদের ওই বিদ্যালয়ে ভর্তি করতে হয়।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শেখ আব্দুস সালাম বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট বহুবার স্কুলটির বেহাল দশার ব্যাপারে জানানো সত্বেও কোন ফল হয়নি।’
স্কুলের প্রধান শিক্ষক শাকিলা খাতুন বলেন, ‘প্রতি বছরই ফুলতলা উপজেলা শিক্ষা অধিদপ্তরে স্কুলটির উন্নয়নের ব্যাপারে এবং ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার বিষয়ে প্রতি বছরই জানানো হয়। কিন্ত এর কোন ফল হয়নি। বিদ্যালয়টিতে ক্রমশই ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, অতিসত্বর নির্মাণসহ সংস্কার করা না হলে কোন ছাত্র ছাত্রীকে স্কুলে ভর্তি করা যাবে না।’
এলাকাবাসী স্কুলটির নির্মাণসহ সংস্কার এবং শিক্ষক শিক্ষিকার সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/এনএম