এক-দুই বছর নয়, দীর্ঘ ১৫ বছর পর ইংল্যান্ডের পাকিস্তান সফরের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আগামী বছরের জানুয়ারিতে সংক্ষিপ্ত সফরে পাকিস্তান যেতে পারে ইংলিশ ক্রিকেট দল। বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) জানিয়েছে তারা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) কাছ থেকে এই সফরের জন্য আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণপত্র পেয়েছে। তারা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে দেখছে।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড সবশেষ পাকিস্তান সফর করেছিল ২০০৫-০৬ মৌসুমে। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলা হওয়ার পর তারা আর পাকিস্তান সফরে যায়নি। যদিও ওই হামলার পর শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট দল পাকিস্তান সফর করেছে। সেখানে হয়েছে পাকিস্তান সুপার লিগও (পিএসএল)।
বৃহস্পতিবার এক বার্তায় ইসিবি জানিয়েছে, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা শেষে আমরা এটা নিশ্চিত করছি যে পিসিবি’র কাছ থেকে নতুন বছরে সংক্ষিপ্ত সফরের জন্য আমরা আমন্ত্রণ পেয়েছি। পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরতে শুরু করেছে, বিষয়টিকে আমরা স্বাগত জানাই। এক্ষেত্রে আমরাও চেষ্টা করবো পাকিস্তানকে সহায়তা ও সমর্থন দিতে। কিভাবে তাদের সেখানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে আরো উন্নত করা যায় সে বিষয়ে সহায়তা করতে।
তবে সবার আগে আমরা নিরাপত্তা ও খেলোয়াড়দের কল্যাণটা দেখবো। দেখবো সেখানকার করোনাভাইরাস পরিস্থিতিও। এই সফর সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা পাকিস্তান ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আরো বিস্তারিত আলোচনা করবো। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবো।
চলতি বছরের আগস্টে করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেও পাকিস্তান তিন ম্যাচ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ইংল্যান্ড সফর করেছে। সে সময় করোনার দোহাই দিয়ে পাকিস্তান যদি এই সফর বাতিল করতো তাহলে ইংল্যান্ডের ক্ষতি হতো ৩৬৬ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু তারা সেটা করেনি।
ওই সফরের সময় পাকিস্তানের কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম বলেছিলেন, ‘ইংল্যান্ড এ পর্যায়ে পাকিস্তান ও পাকিস্তানের ক্রিকেটের কাছে ঋণী হয়ে গেল। সুতরাং আমি মনে করি ইংল্যান্ডের ছেলেদের উচিত পাকিস্তানে গিয়ে খেলে আসা।’
একই সিরিজে ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক জো রুট বলেছিলেন, ‘আমি পাকিস্তান সফরে যেতে পছন্দ করবো। ব্যক্তিগতভাবে সেখানে যাওয়া এবং খেলাটা হবে আমার জন্য দারুণ সুযোগ।’
এখন দেখার বিষয় পাকিস্তানের এই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ১৫ বছর পর সফরে যায় কিনা ইংল্যান্ড।
খুলনা গেজেট/এএমআর