দেশজুড়ে চলছে তীব্র তাপদাহ। বৃষ্টির আশায় দেশবাসী। এই মুহূর্তে আকাশ থেকে বৃষ্টি না ঝরলেও চট্টগ্রামে ঝরছে উইকেট বৃষ্টি। ৫ ম্যাচ টি-টোয়েন্টির প্রথমটিতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে টাইগারদের বোলিং তোপে পড়েছে সফরকারি জিম্বাবুয়ে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১৪ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৭২ রান।
শুক্রবার (৩ মে) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হয় সন্ধ্যা ৬টায়। সরাসরি দেখাচ্ছে গাজী টিভি ও টি-স্পোর্টস।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই সফলতা ধরা দেয় টাইগারদের হাতে। ওপেনার ক্রেইগ আরভিনকে বোল্ড করেন শেখ মেহেদি। তখন জিম্বাবুয়ের দলীয় রান মাত্র ৮। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে সফরকারি শিবিরে আবারও আঘাত হানে টাইগাররা। এবার বোলার ইনজুরি কাটিয়ে ১৮ মাস পর দলে ফেরা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তিনি জয়লর্ড গাম্বিকে ব্যক্তিগত ১৭ রানে তাসকিনের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান। তখন দলীয় রান ৩৬।
এরপর একই রানে আরও দুই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। ব্রায়ান বেনেট হন রান আউটের শিকার আর অধিনায়ক সিকান্দার রাজাকে ফেরান শেখ মেহেদি। ম্যাচে এটি মেহেদি দ্বিতীয় শিকার। এরপর দুই রান যোগ করতেই বিদায় নেন শন উইলিয়ামস। তাকে বোল্ড করেন তাসকিন আহমেদ। একই রানে রায়ার্ন বার্লকে রিশাদের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান তাসকিন। ম্যাচে এটি তাসকিনের দ্বিতীয় শিকার। দলীয় ৪১ রানে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন লুক জঙ্গিকে হৃদয়ের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান। ম্যাচে এটিও সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকার।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এ ম্যাচে অভিষেক হয়েছে তরুণ বাঁ-হাতি ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। গত বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক ঘটে তার। এরই মধ্যে ১৫ ওয়ানডে খেললেও টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকের অপেক্ষায় ছিলেন এ বাঁহাতি তরুণ ওপেনার। আজ সেই অপেক্ষা ঘুচল। অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহর কাছ থেকে টি-টোয়েন্টি ক্যাপ বুঝে নেন তানজিদ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্পিনবান্ধব পিচের কথা মাথায় রেখে দলে নেয়া হয়েছে লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন ও অফ স্পিনার শেখ মেহেদিকে। এছাড়া বিপিএলে দুর্দান্ত পারফর্ম করা সাইফউদ্দিন ইনজুরি কাটিয়ে দীর্ঘদিন পর দেশের জার্সিতে মাঠে নামছেন। অভিজ্ঞদের মধ্যে আছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ফর্মে না থাকলেও একাদশে রয়েছেন লিটন দাস। আর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাট হাতে অসাধারণ পারফর্ম করা জাকের আলী অনিককেও রাখা হয়েছে টাইগার একাদশে।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ যৌথভাবে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ২০০৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দু’দল মুখোমুখি হয়েছে ২০টি ম্যাচে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও টাইগাররা সমানসংখ্যক টি-টোয়েন্টি খেলেছে। জিম্বাবুয়ে ও বাংলাদেশ ৭টি দ্বিপক্ষীয় সিরিজে মুখোমুখি হয়েছে। যেখানে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা জিতেছে ৩ বার, জিম্বাবুয়ে ১ বার। ৩টি সিরিজ ড্র হয়েছে।
টি-টোয়েন্টিতে জয়ের হিসাবে জিম্বাবুয়ের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। ২০ ম্যাচের মধ্যে ১৩টিতেই টাইগাররা হেসেছে শেষ হাসি। জিম্বাবুয়ে জিতেছে বাকি ৭ ম্যাচে। প্রসঙ্গত, জিম্বাবুয়ে ছাড়া আর কোনো দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের দশ-ছোঁয়া জয় নেই।
বাংলাদেশ একাদশ
নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
জিম্বাবুয়ে একাদশ
সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ক্রেগ আরভিন, জয়লর্ড গাম্বি, ব্রায়ান বেনেট, শন উইলিয়ামস, ক্লাইভ মানদান্দে (উইকেটকিপার), লুক জঙ্গি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, রায়ান বার্ল, ব্লেসিং মুজারাবানি ও রিচার্ড এনগারাভা।
খুলনা গেজেট/এএজে