পূর্ব ইউরোপের দেশে ইউক্রেনে রাশিয়ার সর্বাত্মক হামলা আর পশ্চিমা দেশগুলোর আরোপিত একের পর এক নিষেধাজ্ঞা যেন একসঙ্গেই চলছে। কঠোর সব নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মস্কোর পিছু হটার কোনো লক্ষণ নেই। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে মিত্রদেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
আর এই ঘোষণার পর জ্বালানি তেলের দাম ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দরে উঠেছে। অপরিশোধিত তেলের দাম এশিয়ার বাজারে ব্যারেল প্রতি ১৩৯ মার্কিন ডলার ছুঁয়েছে। সর্বশেষ ২০০৮ সালে তেলের দাম এই পর্যায়ে উঠেছিল।
অবশ্য ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরু হওয়ার পর থেকেই জ্বালানি পণ্যের দাম বেড়েই চলছিল। আর তাই রাশিয়ার ওপর সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার পর তেল সংকট সামলাতে সৌদি আরব আর ভেনেজুয়েলার দিকে নজর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, আরও বেশি জ্বালানি তেল উত্তোলন করার জন্য সৌদি আরবকে অনুরোধ করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে একটি সফরের পরিকল্পনা করছেন বলে জানা যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস জানিয়েছে, বসন্তে (মার্চ থেকে জুন মাসের মধ্যে) সৌদি আরবে সফর করতে পারেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রাশিয়ার হামলা শুরুর পর বিশ্বে তৈরি হওয়া জ্বালানি সংকট সামলাতে কার্যত হিমশিম খাচ্ছে ওয়াশিংটন।
তবে হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, এরকম কোনো সফরের পরিকল্পনা এখনও হয়নি। তিনি বলেছেন, এখন অনেক বিষয়েই অপরিপক্ক জল্পনা-কল্পনা করা হচ্ছে।
এদিকে ইউক্রেনে রুশ হামলার পর বিদ্যমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে ভেনেজুয়েলার তেলের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ব্যাপারেও যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার কর্মকর্তারা আলোচনা শুরু করেছেন বলে জানা যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মোট জ্বালানি তেলের ১০ শতাংশ রাশিয়া থেকে আমদানি করা হয়। নিউইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশ কয়েকজন মার্কিন আইনপ্রণেতা পরামর্শ দিয়েছেন যে, ভেনেজুয়েলার তেল রাশিয়ার তেলের বিকল্প হতে পারে।