সম্প্রতি ১২ বছর বয়সেই হাইস্কুল থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেছে সুবর্ণ আইজ্যাক বারী। হাইস্কুলের পাট চুকিয়ে এখন সে নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানে পড়াশোনা শুরু করার পরিকল্পনা করছে। আগামী বছরের ‘ফল’ সেশনে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করবে সে।
সম্প্রতি লং আইল্যান্ডের হাইস্কুল থেকে সর্বকনিষ্ঠ ছাত্র হিসেবে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করা সুবর্ণ বলে, ‘আশা করছি, ২০২৬ সালের “স্প্রিং”-এ ১৪ বছর বয়সে আমি কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করতে পারব।’
সিএনএনকে সে বলে, ‘আমি যদি কখনও দ্বিতীয় পিএইচডি করি, তাহলে সেটা পদার্থবিজ্ঞানে করব। তবে আমি মূলত গণিতে মনোযোগ দিতে চাই।’
২ বছর বয়সে পর্যায় সারণি মুখস্থ করা সুবর্ণ সম্প্রতি নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টির ম্যালভার্ন হাইস্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করেছে। সুবর্ণর পরিবার বলছে, সে ছবি আঁকা, বিতর্ক ও পিয়ানো বাজানোতেও দক্ষ।
সুবর্ণ জানায়, নবম গ্রেডের পড়াশোনা শেষ করে সে একবারে ১২তম গ্রেডে ভর্তি হয়। তার হাইস্কুল ১০০ পয়েন্টে জিপিএ স্কোর দেয় বলে জানায় সুবর্ণ। হাইস্কুলের প্রথম বছরে তার জিপিএ ছিল ৯৬, আর দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষে ছিল ৯৮। ১২তম গ্রেডের পড়াশোনা শেষ করে সুবর্ণ নিউইয়র্কের আশপাশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ননডিগ্রি’ ক্লাস নেয়। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আছে নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি, স্টোনি ব্রুক ইউনিভার্সিটি, সিটি ইউনিভার্সিটি অভ নিউইয়র্ক ও ব্রুকলিন কলেজ।
এই মেধাবী ছাত্র এখন নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রির জন্য পড়াশোনা শুরু করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মুখপাত্র বারী পরিবারকে জানিয়েছে, ‘সুবর্ণর চেয়ে কম বয়সে আর কেউ [নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে] ভর্তি হয়েছে বলে নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির জানা নেই’। তবে নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি তাদের পুরনো রেকর্ড রিভিউ করেনি বলেও জানিয়েছে। বারী পরিবারকে পাঠানো একটি ইমেইলের কপি দেখেছে সিএনএন।
সুবর্ণর বাবা-আমা রাশিদুল ও শাহেদা বারী খুব অল্পবয়সে তাকে পড়াশোনা শেখান। তার বাবা ব্রুকলিন টেকনিক্যাল হাইস্কুলের পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক, মা একটি এলিমেন্টারি স্কুলের শিক্ষিকা।
২০১৪ সালে মৌলিক গণিত শেখানোর সময় মাত্র ২ বছর বয়সি সুবর্ণর অসাধারণ মেধা নজরে আসে বলে জানান রাশিদুল বারী। ২০১৬ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সুবর্ণর কঠোর পরিশ্রম ও অর্জনের প্রশংসা করে তাকে চিঠি পাঠান। ওই চিঠির একটি কপি সিএনএনকে দেখিয়েছে সুবর্ণর পরিবার।
সুবর্ণর বাবা বলেন, ২০২০ সালে, ৭ বছর বয়সে সুবর্ণ ভারতের বিভিন্ন কলেজ থেকে ক্লাস নেওয়ার আমন্ত্রণ পেতে শুরু করে।
সুবর্ণর পরিবার জানায়, উচ্চ আইকিউসম্পন্ন ব্যক্তিদের সংগঠন মেনসা তাদের বলেছে, সুবর্ণর আইকিউ পরীক্ষার জন্য তার বয়স ১৪ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
খুলনা গেজেট/এএজে