নিউজিল্যান্ডের করা ৫২১ রানের প্রথম ইনিংসের পর ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথমেই সাদমান, নাঈম, শান্ত, মমিনুল হক ও লিটন দাসকে হারিয়ে বসে টাইগাররা। সাউদি ও বোল্টের বোলিং তোপে চাপে পড়ে ১২৬ রানের অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ।
সোমবার (১০ জানুয়ারি) ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে দাপট দেখালেও দ্বিতীয় সেশনে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এখন স্বাগতিকদের। ৬ উইকেটে নিউজিল্যান্ডের ৫২১ রানের পর মাত্র ১১ রানেই বাংলাদেশ হারিয়ে বসে ৪ উইকেট। লিটন আর ইয়াসির উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও ১৭ রানে লিটনও ফিরে যান সাজঘরে।
চোখরাঙানি দিচ্ছিল নিজেদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন ৪৩ রানে অলআউট হওয়ার শঙ্কা। মাত্র ২৭ রানেই সাজঘরে ফিরে গিয়েছিলেন প্রথম পাঁচ ব্যাটার। সেখান থেকে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দিয়েছেন দুই মিডল অর্ডার ব্যাটার ইয়াসির আলি রাব্বি ও নুরুল হাসান সোহান। বাংলাদেশের ইনিংস পার করেছে শত রান।
তবে এই জুটি বেশি দূর এগোতে পারেনি। ৪১ রান করে সাজঘরে ফেরেন সোহান। তার আউটের পরেই তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে পড়ে টাইগারদের ইনিংস। ইয়াসির আলি আউট হন ৫৫ রান করে। যা বাংলাদেশের ইনিংসে সর্বোচ্চ। মজার বিষয় হচ্ছে সোহান ও ইয়াসির ছাড়া বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটসম্যান দুই অংকের ঘরে পৌছাতে পারেননি।
১২৬ রানে অলআউট হয়ে বাংলাদেশ এখন পিছিয়ে আছে ৩৯৫ রানে। অলআউট হওয়ার পরেই দ্বিতীয় দিনের খেলা সমাপ্তি ঘোষণা করে আম্পায়াররা। এখন দেখার অপেক্ষা তৃতীয় দিনে স্বাগতিকরা বাংলাদেশকে ফলোঅনে ফেলে কি না। যদি টাইগারদের তারা ফলোঅনে ফেলে তাহলে কিউই কিংবদন্তি রস টেলরকে আর হয়তো টেস্টে ব্যাট করতে দেখা যাবে না।
দ্বিতীয় দিন সকালে কিউরা ব্যাট করতে নামার সময় তাদের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেট হারিয়ে ৩৪৯ রান। প্রথম দিন শেষে একাই ১৮৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন স্বাগতিক অধিনায়ক টম লাথাম। অপর অপরাজিত ব্যাটার ডেভন কনওয়ে ৯৯ রান করেছিলেন। আর তাদের দুজনের জুটি ছিল ২০১ রানের। সোমবার সেখান থেকে দলীয় খাতায় আর মাত্র ১৪ রান যোগ করতেই এই রেকর্ড জুটি ভেঙে যায়।
বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কাভার থেকে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে রানআউটের শিকার হয়েছেন ডেভন কনওয়ে। স্ট্রাইক প্রান্তে মিরাজের সরাসরি থ্রো স্ট্যাম্পে গিয়ে আঘাত হানে। ১৬৬ বল মোকাবিলায় ১০৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন কনওয়ে।
এর পরই ব্যাট করতে নামেন নিজের শেষ টেস্ট খেলতে নামা অভিজ্ঞ রস টেলর। এ সময় তাকে গার্ড অব অনার দিয়েছেন বাংলাদেশি খেলোয়াড়রা। কিন্তু মাত্র ২৮ রান করে ফিরে গেছেন তিনি। এবাদত হোসেনের বলে ক্যাচ ধরেছেন আরেক পেসার শরিফুল। এর কিছুক্ষণ পর আবারও এবাদতের আঘাত। এবার তার শিকার হেনরি নিকোলস। রানের খাতা খেলার আগেই উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন কিউই এই ব্যাটার। ড্যারিল মিচেলও কিছু করতে পারেননি। মাত্র ৩ রান করেই শরিফুল ইসলামের বলে কটবিহাইন্ডের শিকার হয়েছেন তিনি। প্রথম দিনের একমাত্র উইকেটটিও শিকার করেছিলেন এই পেসার।
খুলনা গেজেট/এনএম