শঙ্কা ছিল খেলা শুরু নিয়ে। বৃষ্টির আভাস ছিল শুরু থেকে। তবে রাতেই পাকিস্তানের কিংবদন্তি রমিজ রাজা জানিয়েছিলেন, পুরো দিন খেলা চলার মতো আবহাওয়া থাকবে রাওয়ালপিন্ডিতে। শেষ পর্যন্ত ঘটলোও তাই। সূর্যের আলোর নিচেই শুরু হলো পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টের ৫ম দিন। আর তাতে প্রথম সেশনে বাংলাদেশের মুখে স্বস্তির হাসি।
লাঞ্চের আগে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে ১২২ রান। হারিয়েছে দুই উইকেট। জয়ের জন্য দরকার আর ৬৩ রান। জাকির হোসেন এবং সাদমান ইসলাম ফিরে গেলেও তৃতীয় উইকেট জুটিতে নাজমুল হোসেন শান্ত এবং মুমিনুল হকের ৪২ রানের জুটিতে টাইগাররা দেখছে জয়ের স্বপ্ন। নিজেদের ইতিহাসে চতুর্থবার প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করতে বাংলাদেশের সামনে আপাতত খুব কঠিন কিছু অপেক্ষা করছে না।
দলীয় ৫৮ রানে জাকির আর ৭০ রানে ফেরেন আরেক ওপেনার সাদমান। দুই ওপেনার মিলে ১০ ওভারে রান তুলেছেন পার করেছেন ৫০ এর মার্ক। এরপরেই অবশ্য বিপত্তি। মির হামজার বলে ব্যক্তিগত ৪০ রানে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন জাকির। গুড লেংথে পড়ে হালকা মুভমেন্টে বেরিয়ে যাওয়া বলটিতে লাইন মিস করেন জাকির। তাতে ভেঙেছে বাংলাদেশের ৫৮ রানের ওপেনিং জুটি।
১৫ বছর পর যে কীর্তির সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশক্রিজে এসেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন। সাদমান এবং শান্ত দুজনেই খেলছেন ধীরগতিতে। যদিও এরমাঝে একবার জীবন পেয়েছেন সাদমান। স্লিপে ক্যাচ দিলেও ফসকেছে তা। কিন্তু কুড়িয়ে পাওয়া জীবন কাজে লাগাতে পারলেন না তিনি। মিডঅফে আলতো শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন শান মাসুদের হাতে। খুররাম পেয়েছেন নিজের প্রথম উইকেট।
এরপরেই শান্ত এবং মুমিনুলের ধীরস্থির এক জুটি। ভেজা আউটফিল্ডের কারণে শুরুতে খানিক কষ্ট হলেও শেষ পর্যন্ত ঠিকই নিজেদের খুঁজে পেয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাবেক ও বর্তমান অধিনায়ক। দুজন মিলে পার করেছেন ১৬ ওভার। তাতে ধীরগতিতে ৪২ রান করলেও দলকে বিপদে ফেলেননি কেউই।
খুলনা গেজেট/এনএম