খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪৫৮

১১৭ রানের লিড নিয়ে থামল বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

জোড়া সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৪৪৮ রানের বড় পুঁজি পেয়েছিল পাকিস্তান। তবে সেই রান পেরিয়ে সফরকারীরা বড় লিড নিয়েছে। মুশফিকুর রহিমের সর্বোচ্চ ১৯৩ এবং আরও চার ব্যাটারের হাফসেঞ্চুরির সুবাদে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫৬৫ রান। তবে চতুর্থ দিন শেষ হওয়ার এক ঘণ্টা আগেই সফরকারীরা অলআউট হয়ে গেছে, তার আগে অবশ্য লিড পেয়েছে ১১৭ রানের।

রাওয়ালপিন্ডিতে তৃতীয় দিনের পর আজ (শনিবার) চতুর্থ দিনেও দাপুটে ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশ। তবে দুটি আক্ষেপ থেকে যাবে নাজমুল হোসেন শান্ত’র দলের। আগেরদিন ৯৩ রানে আউট হয়ে সেঞ্চুরি না পাওয়ার হতাশায় ডুবেছিলেন সাদমান ইসলাম। আজ সেই হতাশা কিছুটা কাটতে পারত মুশফিকের ডাবল সেঞ্চুরিতে। কিন্তু এবার তিনি থামলেন ৯ রানের দূরত্বে থেকে। চা বিরতির পর তার বিদায়ে কেবল আশা হয়ে ক্রিজে ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

সেঞ্চুরি পাওয়ারও সম্ভাবনা ছিল মিরাজের। কিন্তু আগ্রাসী শট খেলার চেষ্টায় তিনি ক্যাচ দিয়েছেন সালমান আলি আগার হাতে। ফলে থেমেছেন ৭৭ রানে। পরে শেষদিকে ঝোড়ো ইনিংস খেলে দলের পুঁজি বাড়ানোর চেষ্টা চালান শরীফুল ইসলাম। অবশ্য সাড়ে পাঁচশ পার হওয়ার পেছনেও অবদান ছিল মূলত তারই। ১৪ বলে দুটি করে চার-ছক্কায় তিনি ২২ রান করেছেন। তার বিদায়েই ৫৬৫ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।

পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন নাসিম শাহ। এ ছাড়া ২টি করে উইকেট শিকার করেছেন শাহিন আফ্রিদি, খুররম শাহজাদ ও মোহাম্মদ আলীর।

এর আগে শুক্রবার ৫ উইকেটে ৩১৬ রানে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিল বাংলাদেশ। আজ চতুর্থ দিনে খেলতে নেমে নিজেদের জুটির শতরান পূর্ণ করেন মুশফিক ও লিটন দাস। লিটনের বিদায়ে ভাঙে সেই জুটি। অনেকটা মুশফিকের মতোই নাসিম শাহ’র বলে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এরপরই মুশফিক-মিরাজের সেই দাঁত কামড়ানো জুটি। দিনের নবম ওভারেই পাকিস্তান সাফল্য পেলেও, এরপর লম্বা সময় এই দুজন তাদের পরীক্ষা নিয়েছেন।

মধ্যাহ্ন বিরতির আগেই মুশফিক ১১তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। বিরতির পর পর ফিরে মুশফিক দেড়শ এবং মিরাজ করেন ফিফটি। দ্বিতীয় সেশনে দুজনের জুটি দারুণ জমে ওঠে। দুই ডানহাতি মিলে নিরাপদে সেই সেশন পার করে পাঁচশ রানের কাছাকাছি নিয়ে যান দলকে। চা বিরতির পর ফিরে তাতে ছন্দপতন ঘটে মুশফিকের বিদায়ে। মোহাম্মদ আলীর করা অফস্টাম্পের বাইরের কিছুটা লাফিয়ে ওঠা বলে খোঁচা দিয়ে বসলেন তিনি। নিজের হতাশা তো লুকাননি, সঙ্গে ড্রেসিংরুমে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত–ও আক্ষেপে মাথা নিচু করে ফেলেন।

খুলনা গেজেট/এএজে

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!