খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর নিয়োগ নিয়ে ছাত্রদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  ৭ দিনের জন্য আন্দোলন স্থগিত করেছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা
  ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
  ৪০তম ব্যাচের ক্যাডেট এসআইদের সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত

১০ লাখ টাকায় ভুয়া প্রশ্নপত্র বিক্রি, আটক ১৩

গেজেট ডেস্ক

লক্ষ্মীপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্নপত্রসহ ১৩ জনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। আটকদের মধ্যে ১০ জন পরীক্ষার্থী।

এসময় তাদের কাছ থেকে কয়েকটি ব্লাংক চেক, বিভিন্ন পরীক্ষা পাসের মূল সনদপত্র ও ৮টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

এসব ভুয়া প্রশ্নপত্র জেলাসহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার শিক্ষার্থীদের কাছে ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে। যারা নগদ টাকা দিতে ব্যর্থ হয় তাদের কাছ থেকে ব্লাংক চেক ও পরীক্ষা পাসের মূল সনদ রেখে দেয় চক্রটি।

আজ সকালে পরীক্ষা শুরুর আগে ভুয়া প্রশ্নপত্রসহ রামগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের চিতোষী রোডের একটি বাড়ি থেকে মাহমুদুল হোসাইন ও তার স্ত্রী শারমিন আক্তারসহ ৮জনকে আটক করা হয়। এরপর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আরো ৫ জনকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ।

আটককৃতরা হলো, পরীক্ষার্থী সুমি আক্তার, মোরশেদা জান্নাত রিভু, সুরাইয়া আক্তার, তানিয়া বাশার, তাছনিম আক্তার, শারমিন আক্তার, পারভেজ হোসেন, জহিরুল ইসলাম, রহমত উল্যাহ, জামাল উদ্দিন সবুজ ও মঞ্জুর হোসেন। আটককৃতদের মধ্যে ১১জনের বাড়ি রামগঞ্জ ও দু’জনের বাড়ি সদর উপজেলায় বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার ড. এএইচএম কামরুজ্জামান।

এসময় তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মাহামুদুল হোসাইন, জামাল উদ্দিন সবুজ ও মঞ্জুর হোসেন বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্নপত্র তৈরি করে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। তারই ধারাবাহিকতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্নপত্র তৈরি করে।

এসব প্রশ্নপত্র জেলাসহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার শিক্ষার্থীদের কাছে ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে। এছাড়া যারা নগদ টাকা দিতে ব্যর্থ হয় তাদের কাছ থেকে ব্লাংক চেক ও পরীক্ষা পাসের মূল সনদ রেখে দেয় এই চক্র।

এসব চক্রের সঙ্গে আরো কারা জড়িত রয়েছে, তাদের চিহিৃত করে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। এবিষয়ে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহদাত হোসেন টিটু বলেন, তাদের কাছে পাওয়া প্রশ্নপত্রের সঙ্গে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের মিল নেই। তারা একটি প্রতারক চক্র। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) পলাশ কান্তি নাথ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিমতানুর রহমান, ডিএসবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম আজিজুর রহমান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহদাত হোসেন টিটু।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!