১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে ও আন্দোলন ঠেকাতে সরকারের নানা অপকৌশল এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার ও দমনপীড়নের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি এবং নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এ নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, এই সরকারের নৈতিক পরাজয় হয়ে গিয়েছে। এরা সমাবেশ করা নিয়ে দ্বিচারিতা করছে। মুখে সভা-সমাবেশের অধিকার অবারিত আছে বলে বাস্তবে সরকার একদিকে একের পর এক সংঘাতের উসকানি দিয়ে যাচ্ছে অন্যদিকে ১০ ডিসেম্বরের বিএনপির ঢাকার সমাবেশ বানচাল করতে ব্যাপক দমনপীড়ন চালাচ্ছে। এরা দেশব্যাপী বিরোধীদলসমূহের আন্দোলনের উত্থান এবং ঐক্যের প্রয়াস দেখে প্রচন্ড ভয়ে ভীত হয়ে পড়েছে। নিজেরা ভয় পেয়ে তারা এখন জনগণকে ভয় দেখাচ্ছে। মূলত গণ সম্মতিহীন এ সরকারের রাজনীতিতে আর কোনো নৈতিক জায়গা নেই। এরা তাই কর্তৃতবাদী ও দানবীয় কায়দায় রাষ্ট্র ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে সকল আন্দোলন দমন করতে চায়।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, এই সরকার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে সীমাহীন দুর্ভোগ সৃষ্টি করে যাচ্ছে। রাস্তাঘাট ও যানবাহন বন্ধ করে দিয়ে এবং এরা তার মাস্তানবাহিনী দিয়ে, প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে সংঘাত তৈরির অপচেষ্টাও করছে।
এ সময় নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির দাবি জানান। অতিসত্বর উসকানিসহ, দমনমূলক সমস্ত কর্মকাণ্ড বন্ধ করার আহ্বান জানান। নেতৃবৃন্দ বলেন, অবিলম্বে বিএনপিসহ বিরোধীদলগুলোর আশু যেকোনো গণতান্ত্রিক কর্মসূচির ওপর কোনো বাধা দেয়া বন্ধ করে সভা-সমাবেশের অধিকার কার্যকর করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ভোট ডাকাতির ফ্যাসিস্ট সরকারকে পদত্যাগ, অন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং দেশের শাসনব্যবস্থা বদলের লক্ষ্যে জনগণের বৃহত্তর ঐক্য গড়ার আহ্বান জানান।
খুলনা গেজেট/ এসজেড