প্রথমে করোনার ধাক্কায় বিধ্বস্ত হয় দলটি। পরে অনুশীলনে চোট পেয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে ছিটকে পড়েন অধিনায়ক বাবর আজম। শাদাব খানের নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটে হারে পাকিস্তান। রোববার হ্যামিল্টনে দ্বিতীয় ম্যাচেও কিইউদের কাছে পাত্তা পেল না পাকিস্তান।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৬৩ রানের লড়াকু পুঁজি গড়ে পাকিস্তান। জবাবে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় নিউজিল্যান্ড। অর্থাৎ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৯ উইকেটে হেরেছে পাকিস্তান। এই জয়ে তিনি ম্যাচের সিরিজে ২-০তে নিজের করে নিলেন স্বাগতিকরা। টি-টোয়েন্টি র্যাং কিংয়ে দ্বিতীয় সেরা ব্যাটসম্যান বাবরের অনুপস্থিতি হাড়ে হাড়েই টের পাচ্ছে শাদাবের দল।
আজকের ম্যাচে পাকিস্তানের সাফল্য মাত্র দুটি। অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজের ৫৭ বলে হার না মানা ৯৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। আর ১১ বলে ২২ রানের ঝড় তোলা কিউই ওপেনার মার্টিন গাপটিলের উইকেট। গাপটিল ফিরলেও তার কোনো প্রভাবই আঁচ করতে দেননি টিম শেইফার্ট আর কেন উইলিয়ামসন। পাক বোলারদের তুলোধোনা করে ৬৩ বলে ৮ চার আর ৩ ছক্কায় ৮৪ রানে অপরাজিত ইনিংস খেলেন শেইফার্ট। তার ইনিংসই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেয়। শেইফার্টকে যোগ্য সঙ্গ দেন একাদশে ফেরা অধিনায়ক উইলিয়ামসন। ৪২ বলে ৮ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৫৭ রান করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন উইলিয়ামসন।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে টপঅর্ডাররা কিছুটা ভালো খেললেও কিউই বোলারদের তোপে মিডলঅর্ডার ভেঙে পড়ে পাকিস্তানের। ৫৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে পাকিস্তান। মোহাম্মদ রিজওয়ান ২০ বলে ২২ রানে আউট হন। হায়দার আলি ৮ রানে আর আবদুল্লাহ শফিক শূন্যরানে ফেরেন। দলের এমন পরিস্থিতিতে হাল ধরেন বুড়ো হাফিজ। দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি। ৫৭ বলে ১০ বাউন্ডারি আর ৫ ছক্কায় হাফিজ অপরাজিত থাকেন ৯৯ রানে। তার এই অনবদ্য ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট খুইয়ে ১৬৩ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান, যা অনায়াসেই পার করে দেয় নিউজিল্যান্ড।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সবচেয়ে সফল বোলার টিম সাউদি। চার ওভার দিয়ে ২১ রানের খরচায় তিনি একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট।পাকিস্তানের পক্ষে একমাত্র উইকেটটি পেয়েছেন ফাহিম আশরাফ।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন