ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের সময় নাশকতার ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের সহকারী মহাসচিব মুফতি শাখাওয়াত হোসাইন রাজীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর লালবাগ এলাকা থেকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লালবাগ জোনের গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি) রাজীব আল মাসুদ।
ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আজ বিকেলে লালবাগের একটি টিম মুফতি রাজীকে গ্রেপ্তার করে। এখন তিনি আমাদের হেফাজতে রয়েছেন। আগামীকাল তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে। আদালতে পাঠিয়ে তাঁর রিমান্ড আবেদন করা হবে।’
উপকমিশনার দাবি করেন, ‘হেফাজতে ইসলামের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো আমরা বিশ্লেষণ করেছি। সেখানে মুফতি শাখাওয়াত হোসাইন রাজীর সরাসরি অংশগ্রহণ করার দৃশ্য আমরা ভিডিও ফুটেজে দেখেছি। এবং এসব ঘটনার পরিকল্পনায়ও তিনি ছিলেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেও আমরা এসব তথ্যের প্রমাণ পেয়েছি।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে ‘গেস্ট অব অনার’ হিসেবে যোগ দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু মোদির সফরের বিরোধিতা করে হেফাজতে ইসলামসহ বেশকিছু রাজনৈতিক দল ও সংগঠন।
এই প্রতিবাদের জের ধরে ঢাকায় ব্যাপকভাবে সহিংস ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বিক্ষোভের সময় চারজন নিহতের ঘটনাও ঘটে। এরপর দুদিন ধরে সহিংসতা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারায়ণগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেও একাধিক প্রাণহানীর ঘটনাও ঘটে। হামলা ও ভাঙচুর করা হয় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে।
এসব ঘটনায় দেশের বিভিন্ন স্থানে মামলা হয়েছে; যাতে হেফাজতে ইসলামের নেতাদের নামও রয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত হাজার হাজার মানুষকে এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে। এসব মামলায় এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন হেফাজতে ইসলামের নেতাকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
যার মধ্যে রয়েছে- হেফাজতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী, সহপ্রচার সম্পাদক মুফতি শরিফউল্লাহ্, নারায়ণগঞ্জ জেলা সেক্রেটারি মুফতি বশির উল্লাহ প্রমুখ। এবার গ্রেপ্তার হলেন মুফতি রাজী।