খুলনা, বাংলাদেশ | ২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৭ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  প্রীতি ম্যাচ : মালদ্বীপকে ২-১ গোলে হারাল বাংলাদেশ, সিরিজ শেষ হলো ১-১ সামতায়
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৯৪
  আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, বাক স্বাধীনতার : ড. ইউনূস
  জুলাই-আগস্টে নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশে সময় লাগবে : উপদেষ্টা আসিফ

হেফাজতের পূর্ণাঙ্গ কমিটি, আমির হলেন মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী

গেজেট ডেস্ক

আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর মৃত্যুতে শূন্য হওয়া পদে পূর্ণাঙ্গ আমির হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী। তিনি প্রয়াত জুনায়েদ বাবুনগরীর মামা।

রোববার রাজধানীর খিলগাঁওয়ের মাখজানুল উলুম মাদ্রাসায় সংগঠনটির সর্বোচ্চ কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরীর অনুসারীদের নিয়ন্ত্রণেই থাকছে কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় ও খাস কমিটির নেতারা অংশগ্রহণ করেন।

নতুন আমির নির্ধারণের পাশাপাশি আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যদিও প্রতিষ্ঠাতা আমির আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যুর পর কোনো স্মরণ সভা করেনি হেফাজত।

এছাড়া কাদিয়ানীদের অপতৎপরতা বন্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তোলা, কওমি মাদ্রাসা খোলার বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি ঢাকায় একটি মুহতামিম সম্মেলনেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, জুনায়েদ বাবুনগরীর মৃত্যুর দিন রাতে সংগঠনটির বর্তমান মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদি মজলিসে শূরার সদস্যদের সঙ্গে ফোনালাপের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী নাম আমির (ভারপ্রাপ্ত) হিসাবে ঘোষণা করেন।

গতকাল (শনিবার) মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ঢাকায় পৌঁছানোর পর বর্তমান মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদীর সঙ্গে বৈঠক হয়। সেখানে ভারপ্রাপ্ত থেকে ভারমুক্ত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। এরপর সিদ্ধান্ত হয়, আজকে প্রথমে খাস কমিটিতে তার ভারমুক্ত হওয়ার বিষয়ে প্রস্তাবনা দেয়া হবে। এরপর জোহরের পর কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে ভারমুক্ত হন মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী।

আল্লামা শফী গত বছরের সেপ্টেম্বর মারা যাওয়ার পর হাটহাজারী মাদ্রাসায় কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই কমিটিতে আমির নির্বাচিত হন জুনায়েদ বাবুনগরী, আর মহাসচিব হন নূর হোসাইন কাসেমী।

এরপর আমির ও মহাসচিবের বলয়ের লোকজন একচেটিয়া কমিটিতে জায়গা পান। এতে আল্লামা শফীর ছেলে আনাস মাদানীসহ হেফাজতের প্রতিষ্ঠাকালীন নেতৃত্বে থাকা অধিকাংশকে বাদ দেওয়া হয়। এ কারণে হেফাজতের একাংশের নেতাকর্মীরা ওই কমিটিকে ‘ফটিকছড়ি সমিতি’ বলে আখ্যায়িত করেন। পরবর্তীতে শফীপন্থিরা বিকল্প কমিটি করবেন ঘোষণা দিলেও শেষ পর্যন্ত তাদের কমিটি আলোর মুখ দেখেনি।

মূলত আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যুর পর থেকে নুরুল ইসলাম জিহাদি হেফাজত নিয়ন্ত্রণ করছেন। ২০১৩ ও এর পরবর্তী সময়ে হেফাজতের মূল কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট না থাকলেও আল্লামা শফীর ঘনিষ্ঠতার সুবাদে কওমি অঙ্গনে প্রভাব বিস্তার করেন তিনি। আল্লামা শফীর ব্যক্তিগত ক্ষমতায় নুরুল ইসলামকে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সহ-সভাপতি করা হয়। যদিও আল্লামা শফীর শেষ ও মৃত্যুপরবর্তী সময়ে শফী বিরোধী শিবিরের নেতৃত্ব দেন তিনি।

আমিরের দায়িত্ব পাওয়া মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী সম্পর্কে জুনাইদ বাবুনগরীর মামা। তিনি হেফাজতের প্রতিষ্ঠাতা আমির প্রয়াত আল্লামা শাহ আহমদ শফীর নেতৃত্বাধীন কমিটিতে সিনিয়র নায়েবে আমির ছিলেন।

পরে কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি মিললে আল্লামা শফীর ঢাকায় শোকরানা মাহফিলের আয়োজনের বিরোধিতা করে ২০১৯ সালে ইসলামী ঐক্যজোট, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ ও আল হাইআতুল উলয়া-লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ থেকে পদত্যাগ করেন। যদিও আল্লামা শফীর মৃত্যুর পর গত নভেম্বরের কাউন্সিলে প্রধান উপদেষ্টা হন মুহিবল্লাহ বাবুনগরী।

 

খুলনা গেজেট/এএ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!