ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এবং ইসরাইলের মধ্যে চলমান সংঘাতে নিহত সাংবাদিক ও মিডিয়াকর্মীর একটি হিসাব প্রকাশ করেছে অলাভজনক সংগঠন ‘কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্ট’ (সিপিজে)। নিউইয়র্কভিত্তিক সংগঠনটির হিসাব অনুযায়ী, ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত অন্তত ৫৭ সাংবাদিক ও মিডিয়াকর্মী নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও তিন সাংবাদিক এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
সংস্থাটি জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৫০ জনই ইসরাইলি বিমান হামলায় মারা গেছেন। তারা সকলেই ফিলিস্তিনি। এছাড়া ইসরাইলি চার সাংবাদিক ও লেবাননের তিন সাংবাদিকও এই সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন। সংঘর্ষের প্রথম দিনেই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মিডিয়াকর্মী মারা গেছেন। ওই দিনই প্রাণ হারান ছয় সাংবাদিক। এছাড়া ১৮ নভেম্বর পাঁচ সাংবাদিক নিহত হন।
সিপিজে জোর দিয়ে বলেছে, গাজা উপত্যকায় কর্মরত সাংবাদিকরা উচ্চ ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছেন। কারণ তারা ইসরাইলি বিমান হামলার শিকার হচ্ছেন। তারা সেখানে ইসরাইলি হামলা, যোগাযোগ বিঘ্নিত, সরবরাহের ঘাটতি এবং ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাটসহ নানা জটিলতার মধ্যেও সংঘাতের সংবাদ কভার করার চেষ্টা করছেন।
সিপিজের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা প্রোগ্রাম সমন্বয়কারী শেরিফ মনসুর বলেছেন, এই হৃদয় বিদারক যুদ্ধ কভার করার জন্য সমগ্র অঞ্চলের সাংবাদিকরা মহান ত্যাগ স্বীকার করছেন। বিশেষ করে যারা গাজায় রয়েছেন তাদেরকেই সবচেয়ে বেশি হারাতে হচ্ছে। তারা মৃত্যুর হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন। অনেকে সহকর্মী ও পরিবার হারিয়েছেন।
সিপিজে আরও উল্লেখ করেছে, ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এর আগে সাংবাদিকদের নিরাপত্তার গ্যারান্টি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
অপরদিকে গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই সংঘাতে কমপক্ষে ১১ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। গ্রেফতার হয়েছেন আরও ১৯ জন। তাছাড়া অসংখ্য মিডিয়াকর্মী সেন্সরশিপ, হামলা, হুমকি, সাইবার আক্রমণের শিকার হয়েছেন।
খুলনা গেজেট/এনএম