খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ভারতের সাথে বন্দি বিনিময় চুক্তির ভিত্তিতে সরকার শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে : চিফ প্রসিকিউটর
  জুলাই-আগস্ট গণহত্যার মামলায় আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ ১৩ জনের শুনানি চলছে
  শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলার তদন্ত শেষ করা ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
দায় স্বীকার অভিযুক্ত কিশোরের

‘হাত-পা ও মুখ বেঁধে সুন্নতে খৎনা দেওয়ায় মৃত্যু হয় শিহাবের’

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট

বাগেরহাটের চিতলমারীতে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় সাড়ে তিন বছর বয়সী শিহাব শেখ নামের এক শিশুকে হত্যার দায়ে প্রতিবেশি কিশোর হামিম শেখ (১৭) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন কিশোর হামিম শেখ। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আদালতে সোপর্দ করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আছাদুল ইসলাম হামিম শেখকে যশোর কিশোর সংশোধোনাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে হামিম শেখের ঘর সংলগ্ন শৌচাগারের পাশ থেকে শিশু শিহাবের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। ওই রাতেই পুলিশ অভিযুক্ত হামিম শেখকে আটক করে। এ ঘটনায় শিশু শিহাবের মা সুমি বেগম বাদী হয়ে কিশোর হামিমকে আসামী করে চিতলমারী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

হত্যার শিকার শিশু শিহাব চিতলমারী উপজেলার হিজলা গ্রামের ফরহাদ শেখের ছেলে।

অভিযুক্ত কিশোর হামিম শেখ (১৭) একই এলাকার রমজান শেখের ছেলে।

পুলিশ জানায়, অন্যান্য দিনের মত বুধবার বিকেলে শিশু শিহাব বাড়ির উঠোনে খেলছিল। হামিম শেখ ডেকে নিয়ে নিজ ঘরের মধ্যে হাত-পা ও মুখ বেঁধে শিশু শিহাবকে হত্যা করে। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে না পেয়ে, রাতে মাইকিংও করে স্থানীয়রা। পরবর্তীতে হামিমের ঘর সংলগ্ন শৌচাগারের পাশ থেকে শিশু শিহাবের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

হত্যার কারণ সম্পর্কে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চিতলমারী থানার ওসি তদন্ত মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, হত্যার দায় স্বীকার করে কিশোর হামিম আদালতে জবানবন্দী দিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে হামিমের মধ্যে সুন্নতে খৎনা দেওয়ার কৌতুহল ছিল। এজন্য সে শিহাবকে বাছাই করে। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে শিহাবকে ডেকে ঘরের মধ্যে নিয়ে যায় হামিম। শিহাবের হাত-পা ও মুখ বেঁধে একটি ক্যাচি দিয়ে সুন্নতে খৎনা দেওয়ার চেষ্টা করে এবং শিহাবের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে। এক পর্যায়ে শিশু শিহাব অচেতন হয়ে পড়ে শৌচাগারের পাশে রেখে দেয়। সেখানেই শিহাবের মৃত্যু হয় এবং হামিম বাড়ির বাইরে ঘুরতে থাকে।

পুলিশ পরিদর্শক মোঃ তরিকুল ইসলাম আরও বলেন, বৃহস্পতিবার বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে শিশু শিহাবের মৃতদেহের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। কিশোর হামিমকে আদালত কিশোর সংশোধোনাগারে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!