গত ২০ বছর ধরে তুরস্ক শাসন করে আসা এরদোয়ানই দেশটির মসনদে বসছেন। রোববার (২৮ মে) অনুষ্ঠিত রান-অফ নির্বাচনে তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা আনাদোলু ও বিরোধীদের সমর্থিত সংবাদ সংস্থা আনকার প্রকাশিত প্রাথমিক ফলে দেখা গেছে, প্রায় ৯৩ শতাংশ ব্যালট বাক্স গণনায় এগিয়ে আছেন এরদোয়ান।
৯ বছর প্রেসিডেন্ট আর ১১ বছর প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করা এরদোয়ানের নেতৃত্বে ক্রমাগত কর্তৃত্ববাদী শাসনের পথে হাঁটা তুরস্কে স্মরণকালের ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট চলছে। এরদোয়ানের পেশীবহুল পররাষ্ট্র নীতি আর অপ্রচলিত উপায়ে দেশের অর্থনীতি পরিচালনার ফলে রেকর্ড মূল্যস্ফীতির মুখোমুখি হয়েছে দেশটি।
এমন পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ভোটে এরদোয়ানের জন্য আরও বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছিল তিন মাস আগে দেশটিতে আঘাত হানা স্মরণকালের ভয়াবহ ভয়মিকম্প। ওই ভূমিকম্পে অর্ধলাখের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। ভূমিকম্পের পর উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতায় প্রশাসনের ব্যর্থতা নিয়ে দেশ ও বিদেশি তীব্র সমালোচনার শিকার হতে হয় এরদোয়ান নেতৃত্বাধীন সরকারকে।
চলমান এই পরিস্থিতির মাঝে গত ১৪ মে অনুষ্ঠিত প্রথম দফার নির্বাচনে এরদোয়ানের সাথে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কেমাল কিলিচদারোগলুর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়।
বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ১১টার দিকে তুরস্কের উচ্চ নির্বাচন বোর্ডের প্রধান আহমেদ ইয়ানার এক সম্মেলনে নির্বাচনের আংশিক ফল প্রকাশ করেছেন। এ সময় তিনি বলেন, প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কিলিচদারোগলুর চেয়ে এগিয়ে আছেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। প্রাথমিকভাবে ৯৩ শতাংশ ব্যালট বাক্সের ভোট গণনায় এরদোয়ান ৫৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং কিলিচদারোগলু ৫৪ দশমিক ৬ শতাংশ সমর্থন পেয়েছেন।
আল জাজিরার জানিয়েছে, দ্বিতীয় রাউন্ডে এরদোয়ান ৫২.১ শতাংশ ভোট ও কেমাল ৪৭.৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।
খুলনা গেজেট/কেডি