দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাসটি পরিচিত। এই পানীয়কে গোল্ডেন মিল্ক নামেও ডাকা হয়। তবে শুধু হলুদ মেশানো দুধ নয়, হলুদ চায়েরও রয়েছে অনেক উপকারিতা। যদিও এর উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। হলুদ রোগ সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং ত্বককে সুন্দর করে তোলে।
নিয়মিত হলুদ চা খেলে তা শরীরের প্রদাহ কমায় এবং ভালো ঘুমের ক্ষেত্রে সাহায্য করে। ব্রণ দূর করে, হার্ট ও লিভারকে ভালো রাখে হলুদ। রয়েছে এমন আরও অনেক উপকারিতা। চলুন জেনে নেওয়া যাক হলুদ চা খেলে কোন উপকারগুলো মিলবে-
প্রদাহ কমায়
আপনি এক কাপ হলুদ চা বানিয়ে খেলে তাতে পাবেন ভিটামিন বি৩, বি৬, তামা, জিঙ্ক, পটাসিয়াম, আয়রনসহ প্রচুর পুষ্টি এবং খনিজ উপাদান। এসব পুষ্টি উপাদান কাজ করে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে। ফলে কমে অনেকগুলো দীর্ঘস্থায়ী অসুখ এবং প্রদাহের ঝুঁকি।
বাতের ব্যথা কমায়
যারা বাতের ব্যথা বা জয়েন্ট পেইনে ভুগছেন, তাদের জন্য একটি কার্যকরী প্রতিষেধক হতে পারে হলুদ চা। কারণ হলুদে আছে কারকিউমিন যৌগ। যা কাজ করে জয়েন্টের ব্যথা, বাতের ব্যথা এবং ফোলা কমাতে। তাই এ ধরনের ব্যথা কমাতে হলুদ মেশানো চা খাওয়ার অভ্যাস করুন।
হার্ট ভালো রাখে
শরীরের জন্য ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে হলুদ চা। যে কারণে কমে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি। তাই হার্টের সমস্যা কিংবা হার্ট অ্যাটাকের ভয় এড়াতে নিয়মিত হলুদ চা খাওয়ার অভ্যাস করুন।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
হলুদ ক্যান্সার বিরোধী। এটি ত্বক, অন্ত্র, স্তন, পাকস্থলী ইত্যাদির ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাই ক্যান্সারের মতো মরণঘাতি অসুখ থেকে দূরে থাকতে চাইলে প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখুন হলুদ চা।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে কাজ করে হলুদ চা। কারণ হলুদে এমন কিছু উপাদান থাকে যেগুলো কমায় রক্তে শর্করার মাত্রা। ফলে কমে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি। এটি ইনসুলিন উৎপাদনে সাহায্য করে। ফলে বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও।
হলুদের চা তৈরি করবেন যেভাবে
দুই কাপ পানিতে ১ চা চামচ হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিয়ে হলুদ চা তৈরি করুন। এবার একটি কাপে বিট লবণ, গোলমরিচের গুঁড়া, লেবুর রস এবং আদার রস নিয়ে তার সঙ্গে এই হলুদ চা মিশিয়ে দিন। এসব উপাদান হলুদ চায়ের পুষ্টিগুণ বাড়াতে কাজ করবে। সপ্তাহে দুই-তিনবার এই চা খেলে মিলবে উপকার।
খুলনা গেজেট/কেএ