হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের বড়ঝুম গ্রামে নারীকে বেআইনী শালিসে বেত্রাঘাত ও পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় জড়িতেদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনার দাবিতে মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানবাধিকার সংস্থা স্বদেশ, আইন ও শালিস কেন্দ্র-আসক, এইচআরডিএফ-সাতক্ষীরা, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, সাতক্ষীরা শাখা, মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন-এমএসফ সাতক্ষীরা যৌথভাবে সাতক্ষীরা শহিদ আবদুর রাজ্জাক পার্কে বেলা ১০টায় এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।
মানবাধিকারকর্মী ও স্বদেশ’র নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্তের পরিচালনায় প্রতিবাদ সামবেশ ও মানববব্ধন কর্মসূটিতে সভাপতিত্ব করেন জেলা আ’লীগের সহসভাপতি, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক কালের চিত্র সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা, অধ্যক্ষ আবু আহমেদ। বক্তব্য রাখেন, জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক এড. আজাদ হোসেন বেলাল, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও নাগরিক নেতা এড. আবুল কালাম আজাদ, মানবাধিকারকর্মী অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, জেলা জাসদের সভাপতি শেখ ওবায়াদেুস সুলতান বাবলু, উন্নয়নকর্মী আবু জাফর সিদ্দিকী, বাংলদেশ জাসদ, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইদ্রিস আলী নারী অধিকারকর্মী মহিলা পরিষদের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জ্যো¯œা দত্ত, ভূমিহিন নেতা আবদুস সামাদ, নারী অধিকারকর্মী খুরশিদ জাহান শীলা ও আঞ্জুয়ারা খাতুন প্রমুখ।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা হবিগঞ্জ জেলার টুনরাঘাট উপজেলার গাজীপুর থানার বড়ঝুম গ্রামে অবৈধ ও বেইনী শালিসে নরীকে বেত্রাঘাত ও পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় জড়িতেদের অতিদ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানান। সাথে সাথে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পল্লীতে এলাকার দুর্বৃত্ত কর্তৃক গৃহবধূ নাসরিন পারভিনের চুল কাটার ঘটনা ও গৃহবধূ কোহিনুর বেগম হত্যার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরা, হবিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে নারীদের প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। অবিলম্বে এসব ঘটনায় সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় এনে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে। তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে এসব ঘটনার বিচার সম্পন্ন করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তর দাবি জানান।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে জেলার প্রগতিশীল মানুষ, রাজনীতিবিদ, পেশাজীবি সংগঠন, মানবাধিকার সংগঠন, উন্নয়ন সংগঠনের প্রতিনিধি, ভূমিহীন নেতা, নারী অধিকারকর্মি ও গণমাধ্যমকর্মী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, দলিত সম্প্রদায়ের সদস্যরা