মোরেলগঞ্জে ঘুমন্ত মা-বাবার পাশ থেকে ১৭ দিন বয়সী সোহানাকে চুরি করে নিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির।
তিনি বলেন, মোরেলগঞ্জ উপজেলার ১৭ দিন বয়সী যে বাচ্চাটি খোয়া গিয়েছিল, গতকাল সেই শিশুটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্তে আমরা দেখেছি, শিশুটির মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমরা ধারণা করছি, মাথায় আঘাত করায় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ফলে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে শিশু হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে তার বাবা- চাচাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর শিশুটি হত্যা ঘটনায় প্রাথমিক সম্পৃক্ততা পেয়ে পুলিশ শিশু সোহানা আক্তারের বাবা সুজন খান, চাচা রিপন খান এবং তাদের ভগ্নিপতি হাসিব শেখকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়। তবে কী কারণে শিশুটিকে তারা হত্যা করেছে তা এখনও স্পষ্ট করেনি পুলিশ।
মোরেলগঞ্জ থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, বুধবার সকালে পুকুর থেকে ১৭ দিনের শিশু সোহানার মরদেহ উদ্ধারের পর দুপুরে সন্দেহভাজন হিসেবে শিশুটির বাবা সুজন খান, চাচা রিপন খান এবং তাদের ভগ্নিপতি হাসিব শেখকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়। “দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, তারা শিশু সোহানা হত্যার ঘটনায় জড়িত রয়েছে। তাই আমরা এই তিনজনকে শিশু হত্যার ঘটনায় রাতে গ্রেপ্তার দেখিয়েছি।” আরও জিজ্ঞাসাবাদের পর শিশু সোহানা হত্যার কারণ উন্মোচিত হবে ।
রোববার (১৫ নভেম্বর) রাতে মোরেলগঞ্জ উপজেলার গাবতলা গ্রামে বাবা সুজন খান ও মা শান্তা আক্তারের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল ১৭ দিন বয়সী সোহানা। মধ্য রাতে ঘুম ভেঙে তারা দেখেন যে শিশুটি হারিয়ে গেছে। সোমবার (১৬ নভেম্বর) ভোর থেকে পুলিশের একাধিক টিম শিশুটিকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করলেও কোনো কূল-কিনারা পাচ্ছিল না পুলিশ। সোমবার (১৬ নভেম্বর) রাতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মোরেলগঞ্জ থানায় মামলা করেন শিশুটির দাদা আলী হোসেন খান। বুধবার ভোরে নামাজের পর নিজ ঘরের সামনের পুকুরে নাতির মরদেহ ভাসতে দেখেন আলী হোসেন। পরে পুলিশ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ।
খুলনা গেজেট /এমএম