খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, ১৫ আগস্ট আর ৩ নভেম্বরের হত্যাকারীদের সাথে কোন আপোষ হতে পারে না। এরা দেশ ও জাতির শত্রু। ওরা কখনও দেশের মানুষের কল্যাণ কামনা করে না। এদেরকে রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবে প্রত্যাখান করে আইনের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি আরো বলেন, বাংলার মানুষ অত্যন্ত শান্তি প্রিয়। তাই তারা পরিবার পরিজন নিয়ে শান্তিতে বসবাস করতে চায়। বাংলার মানুষ আর ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর এবং ২১ আগস্ট এবং ২০০১ সালের বিভৎস রূপ দেখতে চায়না। বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস, হত্যা ক্যু’র রাজনীতি কারনেই জনগণ তাদের পরিহার করে সরকারের উন্নয়নকে সমর্থন করেছে। সেকারনেই বিএনপি-জামায়াত দিশেহারা হয়ে ধ্বংসাত্মক রাজনীতিতে নেমেছে। এদেরকে আর সামনে এগুতে দেয়া হবে। সেজন্যে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে ৫ম বার প্রধানমন্ত্রী করে দেশের শান্তি শৃংখলা ও উন্নয়নের ধারাকে অব্যহত রাখতে হবে।
শুক্রবার (০৩ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় দলীয় কার্যালয়ে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জেলহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারি। মহানগর আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি এ এফ এম মাকসুদুর রহমান ও অধ্যক্ষ দেলোয়ারা বেগম, মহানগর আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, মহানগর আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, জেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল, মহানগর আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ কামাল, জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম খালেদীন রশিদী সূকর্ণ, সদর থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তসলিম আহমেদ আশা, মহানগর শ্রমিক লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোতালেব মিয়া, জেলা কৃষক লীগ সাধারণ সম্পাদক মানিকুজ্জামান অশোক, মহানগর যুবলীগ সভাপতি মো. সফিকুর রহমান পলাশ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি শেখ মো. আবু হানিফ, জেলা যুবলীগ সভাপতি প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান সোহাগ, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. পারভেজ হাওলাদার, মহানগর ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাড. রবিন্দ্রনাথ মন্ডল, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, এ্যাড. ফরিদ আহমেদ, শেখ মো. আনোয়ার হোসেন, এম এ রিয়াজ কচি, জোবায়ের আহমেদ খান জবা, শামছুজ্জামান মিয়া স্বপন, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, হালিমা ইসলাম, কাজী শামীম আহসান, রকিবুল ইসলাম লাবু, মোজাফফর হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোকলেসুর রহমান বাবলু, বিরেন্দ্র নাথ ঘোষ, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, মো. সাইয়েদুজ্জামান সম্রাট, মো. খায়রুল আলম, শেখ সিদ্দিকুর রহমান, এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, এস এম আকিল উদ্দিন, জামিল খান, শিউলি সরোয়ার, বাবুল সরদার বাদল, শেখ আবিদ উল্লাহ, কাউন্সিলর শেখ হাসান ইফতেখার চালু, মুন্সি সেলিম হোসেন, মীর মো. লিটন, নাজনীন নাহার কনা, পারভীন ইলিয়াছ, অধ্যা. এ বি এম আদেল মুকুল, এ্যাড. আব্দুল লতিফ, খান সাইফুল ইসলাম, এ্যাড. শামীম আহমেদ পলাশ, এ্যাড. সেলিনা আক্তার পিয়া, শিউলি, মো. ইমরান হোসেন, নূরীনা রহমান বিউটি, নুরজাহান রুমি, পারভীন হাসমত, জেসমিন সুলতানা শম্পা, খাদিজা কবির তুলি, রেজওয়ানা প্রধান, শবনম মুস্তারি বকুল, রেখা খানম, কোহিনুর, চিশতি মুস্তারি বানু, নাছরিন ইসলাম তন্দ্রা, নিপা মোলানিসা আইরিন, বিউটি বেগম, জব্বার আলী হিরা, জহির আব্বাস, মাহমুদুর রহমান রাজেস প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে শহীদ জাতীয় চার নেতার রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন, মহানগর শ্রমিক লীগ যুুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহীম খান। এর আগে সকাল ৮টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়।