কোটা সংস্কার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে। বিভিন্ন হল, অনুষদ ও বিভাগ কমিটি থেকে পদত্যাগ করছেন নেতাকর্মীরা। হামলাকে ‘নৃশংস’ দাবি করে পদত্যাগ করছেন তারা। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেল পর্যন্ত ঢাবি ছাত্রলীগের প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী সামাজিক যোগামযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন সাবিহা তারান্নুম তারা। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘আমি সাবিহা তারান্নুম তারা। সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, সেশন২০১৯-২০। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক পদ থেকে স্বেচ্ছায় সজ্ঞানে পদত্যাগের ঘোষণা করছি।
একইভাবে ফেসবুকে স্ট্যটাস দিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন কুয়েত মৈত্রী হল শাখা ছাত্রলীগের অর্থ সম্পাদক জুয়েনা আলম মুন।সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন আশিকুর রহমান জিম। তিনি হলের কার্যকরী সদস্য।
বিজয় একাত্তর হলের সহসভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করা শিপন মাহমুদ ফেসবুকে লিখেছেন, আমি চলমান ছাত্রআন্দোলনের পক্ষে অবস্থান করছি।
ন্যায়ের পক্ষে থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শোকজ খাওয়া এবং মুচলেকার মুখে পড়া ছাত্র আমি। আমি আজীবন নজরুল। প্রতিবাদ আমার রক্তে। আমি আজন্ম প্রতিবাদী পুরুষ। আমি মো. শিপন মিয়া, সহসভাপতি, বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
চলমান যৌক্তিক ছাত্রআন্দোলনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন প্রদান করে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বিজয় একাত্তর হল-এর সহ-সভাপতির পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলাম। অন্যায় আর শিপন এক লাইনে থাকে না।
রাতুল আহমেদ শ্রাবন নাম শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিটিউটের মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা বিষয়ক উপ-সম্পদক পদ থেকে পদত্যাগ ঘোষণা করছেন।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল, অনুষদ এবং বিভাগ ভিত্তিক ছাত্রলীগের ফেসবুক ও মেসেঞ্জার গ্রুপ থেকে অনেক নেতাকর্মী লিভ নিয়েছেন।
নেতাকর্মীদের পদত্যাগের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
খুলনা গেজেট/এএজে