খুলনা, বাংলাদেশ | ১১ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৪শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফর স্থগিত
  কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে নতুন বাংলাদেশ গড়তে আর্থিক ও বিনিয়োগের সহায়তা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস

সয়াবিনের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সরিষার তেলের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট

অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি ও মজুতদারদের দৌরত্বে লিটার প্রতি সয়াবিন তেলের দাম ৩৮ টাকা বৃদ্ধি করতে বাধ্য হয়েছে সরকার। তবে ভোক্তা পর্যায়ে এই দাম বেড়েছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে ভোক্তা পর্যায়ে খোলা সয়াবিন তেল ২০০ থেকে ২১০ টাকা লিটার এবং বোতলজাত তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৮ টাকা লিটারে। সয়াবিন তেলের ডাবল সেঞ্চুরিতে বসে নেই সরিষার তেল। গেল দুই মাসে কেজি প্রতি খোলা সরিষার তেলেরও দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত। লিটার প্রতি বোতল জাত সরিষার তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৩০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত।

ভোক্তাদের দাবি সয়াবিনের দাম বেশি দেখে সরিষার তেলের দাম বৃদ্ধি করেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে হঠাৎ করে সরিষার তেলের দাম বৃদ্ধির কোন কারণ জানাতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। চাহিদা বৃদ্ধির কারণে ব্যবসায়ীরা দাম বৃদ্ধি করেছে বলে জানিয়েছেন জেলা বাজার কর্মকর্তা মোঃ সুজাত হোসেন খান।

শুক্রবার(১৩ মে) বাগেরহাট শহরের প্রধান বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা যায়, খোলা সরিষার তেল প্রতি কেজি ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। মাত্র তিন মাস আগেও বাগেরহাটে সরিষার তেলের কেজি ছিল ১৮০ থেকে ২০০ টাকা পযন্ত। কয়েকধাপে বৃদ্ধি পেয়ে তা ২৬০ টাকায় পৌছেছে। সেভেন স্টার নামের একটি স্থানীয় সরিষার তেল কোম্পানির বোতলজাত তেল প্রতি কেজি খুচরা বাজারে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লোকাল মিলগুলোতেও সরিষার তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে কেজি প্রতি ৩০ থেকে ৫০ টাকা।

অন্যদিকে বাগেরহাটের বিভিন্ন বাজারে সুরেশ সরিষার তেল প্রতি লিটার চারশ টাকা, রাধুনী ৩৬০ টাকা, তীর ২৮০ টাকা এবং ২৮০ টাকা। অন্যান্য ব্রান্ডের সরিষার তেলও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ৩০০ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে বাগেরহাটের বাজারে।

সয়াবিন তেল নিয়ে অস্থিরতার মধ্যে সরিষার তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা।

বাগেরহাট বাজারে তেল কিনতে আসা আলমগীর শেখ নামের এক ভ্যান চালক বলেন, হঠাৎ করে দেশে যখন সয়াবিনের তেলের দাম হুহু করে বাড়তে থাকল। তখন সরিষার তেল খাওয়া শুরু করলাম। এখন তেল ২৫০-৬০ টাকা হয়ে গেছে। এর সাথে অন্যান্য খাবারেরও দাম বেড়েছে অনেক। আমরা গরীব মানুষরা কোথায় যাব।

দিন মজুর রশীদ মোল্লা বলেন, সয়াবিন ছেড়ে সরিষা খাওয়া শুরু করেছিলাম। এখনতো দেখছি পানি দিয়ে রান্না করতে হবে আমাদের। শুধু আলমগীর ও রশীদ নয়, বাজারে আসা বেশিরভাগ ক্রেতারই বক্তব্য একই রকম।

খুচরা দোকানি মোঃ লতিফ বলেন, আমরা তেল আনি বগুরা ও নওগা থেকে। সেখানে দাম বাড়ালে আমাদেরও বাড়াতে হয়। তবে সয়াবিনের মত সরিষার দাম অতটা বাড়েনি, এজন্য মোটামুটি বিক্রি হচ্ছে। সয়াবিনের মত বাড়লে আর কেউ সরিষার তেল কিনত না।

সেভেন স্টার তেল কোম্পানির স্বত্তাধিকারী ফারাজুল ইসলাম বলেন, মোকামে সরিষার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, তাই আমরা তেলের দাম কিছুটা বাড়িয়েছি। এছাড়া আমাদের আর কোন উপায় ছিল না।

বাগেরহাট জেলা বাজার কর্মকর্তা মোঃ সুজাত হোসেন খান বলেন, সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধির সাথে সাথে সরিষার তেলের চাহিদা কয়েকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া এই সময়টায় সরিষার দামও কিছুটা বেশি থাকে। এই কারণে ব্যবসায়ীরা দাম বৃদ্ধি করেছে। তবে অতিরিক্ত দাম বৃদ্ধির কোন সুযোগ নেই। কেউ যদি অনেক বেশি দামে সরিষার তেল বিক্রি করে চায় তাহলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!