নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)’র প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের স্ত্রী জাহানার কাঞ্চন, চ্চলচিত্রকার তারেক মাসুদ, অধ্যাপক মিশুক মনির, চট্টগ্রাম ও মেহেরপুরে প্রাথমিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা,দিয়া, প্রিন্সেস ডায়না, ব্যবসায়ী ডোডি আল ফয়েদসহ সারা বিশ্বে সড়ক দুঘটনায় নিহতদের জন্য বিশ্ব স্মরণ দিবস উপলক্ষে খুলনায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) খুলনা মহানগর শাখা ও গতি (গ্রাস রুটস্ অগানাইজেশন ফর টেকনোলজিক্যাল ইনিশিয়েটিভ)’র উদ্যোগে নগরীর শিববাড়ী মোড়ে অনুষ্ঠিত মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও সভায় সভাপতিত্ব করেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি এসএম ইকবাল হোসেন বিপ্লব।
সংগঠনের সাধারন সম্পাদক মো: নজরুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন মহানগর নিসচা’র শেখ মো: নাসিরউদ্দিন, আব্দুস সালাম শিমুল, এ্যাড.শেখ হাফিজুর রহমান,মো: আফজাল হোসেন রাজু,আগুয়ান ৭১ এর সভাপতি আব্দুল্লাহ চৌধুরী, আবিদ শান্ত,বনানী আফরোজা, মো: নাজমুল হোসেন, শিরিনা পারভীন,এসকেএমডি বাহালুল আলম,মো: সাইফুর রহমান সুজন,রকিবউদ্দিন ফারাজী, খ ম শাহীন,মো: ফিরোজ আলী,গতি’র মাহমুদা আক্তার লিজা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা এবং তার আর্থ-সামাজিক প্রভাব এতটাই ব্যাপক যে, বৈশ্বিকভাবে উদ্বেগের বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিশ্বে প্রতিবছর দুর্ঘটনায় মারা যায় ১.২ মিলিয়নের অধিক মানুষ; আর আহতের সংখ্যা ৪০ থেকে ৫০ মিলিয়ন।দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় বেশির ভাগ সমাজের নিম্ন অথবা মধ্যম-আয়ের মানুষ। ফলশ্রুতিতে, দুর্ঘটনার পর কেউ মারা গেলে বা পঙ্গুহয়ে গেলে, পরিবারকে চিকিৎসার জন্য দীর্ঘমেয়াদে একটা বড় ধরনের ব্যয়ভার বহন করতে হয়; আর নয়তো মৃত্যুর ক্ষেত্রে পুরো পরিবারটিই হয়ে পড়ে আর্থিকভাবে বিপদাপন্ন। পরিবারগুলো দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর বা অতিদরিদ্রে পরিণত হয়। অবিলম্বে দেশের সড়ক দুর্ঘটনার হ্রাস করতে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বাস্তবায়নের দাবী জানানো হয়। এবং খুলনা মহানগরীতে ডিজিটাল ট্রাফিক ব্যবস্থা চালুর আহবান জানান।
খুলনা গেজেট/এমএম