করোনা মহামরীতে মোংলা নদী পারাপারকারী খেয়া ট্রলার মাঝি ও যাত্রী সাধারণ সরকারি কোন নির্দেশনা মানছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ, উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা নদী পারাপারে যতই সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাসহ মুখে মাস্ক পরিধান করার আহবান জানান তবুও এর কোন ব্যত্যয় ঘটেনি। তবে বৃহস্পতিবার দিনভর যাত্রী ও মাঝিদের মধ্যে কোন স্বাস্থ্যবিধি ও মুখে মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা যায়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোংলা বন্দর যন্ত্র চালিত মাঝিমাল্লা সংঘের অধীন সুন্দরবন ওয়াপদা পারাপার সমিতি ও ব্যবসায়ী পারাপার সমিতির মোট ১৫০ জন সদস্য ১৮টি ট্রলারে করে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কয়েক হাজার যাত্রী নদী পারাপার হয়ে থাকেন। এসব যাত্রীদের কাছ থেকে দিনের বেলায় মাঝিরা জনপ্রতি ৩ টাকা আর রাতে অন্তত ৫ টাকা করে ভাড়া নেন। সে হিসেবে এ সমিতির দৈনিক আয় কয়েক হাজার টাকা।
অভিযোগ উঠেছে, যত্রতত্র ও খামখেয়ালীভাবে খেয়া ট্রলার চালানোয় করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে খেয়ার মাঝিরা সকালে ১৫ জনের স্থলে ছোট নৌকায় অন্তত ২৫/৩০ আর বড় নৌকায় অন্তত ৩০/৪০ জন করে যাত্রী পারাপার করছে। চালকদের পাশাপাশি এ সব নৌকার যাত্রীরা অধিকাংশ সময়ই সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখাসহ মুখে মাস্ক ব্যবহার করছে না। ফলে যাত্রী ও চালকদের মাঝে করোনা অতিমারি সংক্রমিত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। প্রায় সময়ই ছোট খাট দুর্ঘটনায় খেয়া ট্রলারে থাকা যাত্রীরা কম বেশী আহত হচ্ছেন। অনেক সময় কেউ কেউ খেয়া ট্রলার থেকে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ এমনকি মারা পর্যন্ত যান।
মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার বৃহস্পতিবার দুপুরে জানান, দু’দিন আগে খেয়া নৌকায় কত জন যাত্রী বহন করা হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। এরপরও কেউ সে সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তবে সুন্দরবন ওয়াপদা পারাপার সমিতির সমিতির সভাপতি কামাল গাজী বলেন, খেয়া চালকরা সবাই বাড়তি যাত্রী বোঝাই করতে উৎসাহ দেন না। কেউই অতিরিক্ত যাত্রী বহন করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাসহ জরিমানা করা হয়। এর মধ্যেও ভিড়ের সময় কোন কোন মহিলা বা ব্যক্তি জোর করে খেয়া ট্রলারে উঠে গেলে তাদের কিছুই করার থাকে না।
খুলনা গেজেট/কেএম