স্বাদে, গুনে ঐতিহ্য ধরে রেখেছে তেরখাদার ‘প্রেমের রসগোল্লা’। এই রসগোল্লা টানে দূর-দুরান্ত থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য গরম রসগোল্লা নিতে ছুটেেআসেন হাজারো ভোজন প্রিয় মানুষ। প্রতিদিনই বেড়েই চলছে এ রসগোল্লা কদর। আর এতে বেজায় খুশী ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়,প্রায় এক যুগ আগে প্রসেনজিৎ দাস প্রেম নামে এক ব্যক্তি তেরখাদা উপজেলা সদরের কাটেংগা বাজার পুরাতন বাস স্ট্যান্ড এলাকায় ভাই ভাই হোটেল এন্ড অভিজিৎ মিষ্টান্ন ভান্ডারে মিষ্টি তৈরী শুরু করেন। অল্প দিনের মধ্যে তাঁর তৈরী দৃষ্টি নন্দন ও সু-স্বাদু রসগোল্লার সুনাম ছড়িয়ে পড়ে।
কথিত আছে, রাজনৈতিসহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ তেরখাদায় আসলে তাদের মিষ্টি মুখ করানো হয় এই প্রেমের দোকানের মিষ্টি দিয়ে। এ মিষ্টি খেয়ে সকলেই ভুয়াসী প্রশংসা করেছেন। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সকল শ্রেণিপেশার মানুষ প্রেমের দোকানের রসগোল্লা খেয়ে খুশী। প্রেমের রসগোল্লা তৈরির খবর ছড়িয়ে পড়েছে তেরখাদা উপজেলাসহ আশপাশের উপজেলা ও জেলাগুলোতে।
মিষ্টি কারিগর মিঠু দাস বলেন, প্রতিদিন মোটর সাইকেল, প্রাইভেটকার ও বিভিন্ন বাহনে দূর দূরান্ত থেকে মিষ্টি প্রেমীরা এখানে ছুটে আসেন।
প্রায় একই কথা জানান মিষ্টি কারিগর পাচু গোপাল দাস। তিনি জানান, দৈনিক ১শ’ থেকে দেড় শ’ কেজি মিষ্টি তৈরী করেন। মানুষ গরম মিষ্টি কিনতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। প্রতিদিন সকালে বিকালে মিষ্টি কিনতে বহু লোকের সমাগম ঘটে।
যেভাবে তৈরী প্রেমের রসগোল্লা: রসগোল্লা তৈরীতে গরুর খাটি দুধ, সামান্য ময়দা ও চিনি ব্যবহার করা হয়। কারিগরা আরো জানান,প্রেমের মিষ্টির সাথে অন্য কোন উপাদান মেশানো হয় না। দুধের সাথে সামন্য ময়দা ব্যবহার করা হয় ছানাকে ঘন করার জন্য। এরপর মন্ড বানিয়ে তৈরী হয় ‘রসগোল্লা। এক পিচ রসগোল্লা তৈরি করতে ১৩ টাকা খরচ হয় বলে জানান তিনি।
খুলনা গেজেট/কেডি