ওসি এবং ইউএনও রদবদল নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সরকার প্রশাসনিক রদবদল করছে না, কর্মকর্তাদের বদলি করছে নির্বাচন কমিশন। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের আপত্তি নাই।’
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া কাউকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রাজধানীতে দলটির সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া কাউকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে না।নির্বাচন জমে উঠেছে। কিছু বিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক দল ছাড়া সবাই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। এমনকি বিএনপির অনেক নেতাও দলটির ভুল দর্শন পরিত্যাগ করে নির্বাচনে এসেছেন। নির্বাচনে ভরাডুবির আশঙ্কা এবং নীল নকশা বাস্তবায়ন হবে না বলেই দু-একটি দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসার ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি। রাজনৈতিক আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপি নির্বাচনে আসতে ভয় পায়।’
ওসি এবং ইউএনও রদবদল নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সরকার প্রশাসনিক রদবদল করছে না, কর্মকর্তাদের বদলি করছে নির্বাচন কমিশন। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের আপত্তি নাই।’
বিএনপির আন্দোলন নিয়ে তিনি বলেন, ‘ভাড়া করা টোকাই দিয়ে চোরাগোপ্তা হামলা করছে বিএনপি। বিএনপি নেতা-কর্মী পাচ্ছে না। তাই ভাড়া করা টোকাই দিয়ে বোমা হামলা, পেট্রোল বোমা মারাসহ এসব অপকর্ম করছে। অনেকে বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে সুস্থ রাজনীতিতে ফিরে এসেছেন, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাদের ধন্যবাদ।’
আগামীতে বিএনপির আরও অনেকে স্বাভাবিক রাজনীতির ধারায় আসবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের সাহস থাকলে তারেক রহমানকে রাজপথে আসার আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি জনসমর্থনের অভাবে তাদের আন্দোলন মুখ থুবড়ে পড়েছে। সেই কারণে তারা সন্ত্রাস, অগ্নিসন্ত্রাস, হিংসা, চোরাগুপ্তা হামলা, নাশকতা করছে। স্বাভাবিক পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে তারা রাজনীতিটাকে সন্ত্রাসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন গাড়ি পোড়াচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতির সমর্থন না দিয়ে তারা জনগণকে শত্রু ভাবে। বেলাল হোসেনের মতো একজন নিরীহ বাস হেলপারকে ৮০ শতাংশ পুড়িয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশের নির্বাচন এলেই কিছু মানুষ বা গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করে। জনসমর্থহীন এসব গোষ্ঠী নির্বাচনে হেরে যাবে। সবসময় তারা পেছনের দরজা খোলা রাখে। পেছনের দরজা দিয়ে তারা ক্ষমতায় আসার ষড়যন্ত্র করে।’
এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, উপ দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজীসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।