রসগোল্লার নাম শুনলে জিভে জল আসে বেশিরভাগ বাঙালির। অতিথি আপ্যায়ানে, উৎসবে, আড্ডায়, শুভ কাজে, সুখবর উদযাপনে মিষ্টি তো দরকার হয়ই। কিন্তু ভেজালের ভিড়ে আসল স্বাদ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। স্পঞ্জ রসগোল্লা খেতে চাইলে দোকান থেকে না কিনে ঘরেই তৈরি করে নিতে পারেন। এটি তৈরিতে উপকরণ লাগে খুবই কম। রেসিপি মেনে তৈরি করতে পারলে আসল স্বাদ খুঁজে পাবেন। চলুন রেসিপি জেনে নেওয়া যাক-
তৈরি করতে যা লাগবে
দুধ- ১ লিটার
লেবুর রস বা ভিনেগার- ১-২ টেবিল চামচ
চিনি- ১ কাপ
সাদা- এলাচ ২টি
গোলাপ জল- আধা চা চামচ
পানি- ৪ কাপ।
ছানা তৈরি করবেন যেভাবে
একটি পাত্রে দুধ ফুটতে দিন দুধ প্রথমবার ফুটে ওঠা মাত্র চুলা বন্ধ করে দিন। দুধের ভেতর অল্প করে লেবুর রস বা ভিনেগার দিতে হবে আর চামচের সাহায্যে নেড়ে মেশাতে হবে। যখন হালকা সবুজ পানি বের হয়ে ছানা আর পানি আলাদা হয়ে যাবে, তখন লেবুর রস দেওয়া বন্ধ করবেন।
একটি পাতলা কাপড়ের সাহায্যে ছানা থেকে গরম পানি ছেঁকে ট্যাপের নিচে পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। ছানাতে লেবুর রস বা ভিনেগারের গন্ধ যেন লেগে না থাকে। এবার কাপড়ের পুটলিকে হাত দিয়ে চেপে চেপে পানি বের করুন। ছানার বাকি পানি ঝরানোর জন্য কয়েক ভাঁজ করে রাখা শুকনা সুতি কাপড়ের উপর ছড়িয়ে দিয়ে হাত দিয়ে আলতোভাবে ডলে নিন। এভাবে ৫ মিনিট করলে ছানার পানি শুকনা কাপড় শুষে নেবে। এবার ছানা তৈরি।
সিরা তৈরি করবেন যেভাবে
চুলায় একটি বড় হাঁড়িতে ৪ কাপ পানি, ১ কাপ চিনি ও ২টি সাদা এলাচ দিয়ে জ্বাল দিন। চিনি আর পানি ভালোভাবে মিশে গেলে ফুটে উঠলে চুলার আঁচ কমিয়ে রেখে দিন ।
রসগোল্লা তৈরি করবেন যেভাবে
ছানা মিনিট দশেক ভালোভাবে মথে নিতে হবে। ছানার মধ্যে যেন কোনো দলা না থাকে এবং বল বানালে খুব মসৃণ হয়। মথে নেওয়া ছানা দিয়ে একটু বড় করে বল বানিয়ে নিন। সবগুলো বল বানানো হয়ে গেলে সিরার আঁচ বাড়িয়ে মাঝারি করে দিন। এবার সিরার সঙ্গে গোলাপজল মেশান। সিরা ফুটতে শুরু করলে বলগুলো সিরায় ছেড়ে দিতে হবে এবং ঢাকনা দিয়ে ঢেকে মিনিট পাঁচেক ফুটতে দিতে হবে। এ সময় মিষ্টি নাড়াচড়া করা যাবে না। ৫ মিনিট পর চুলার আঁচ কমিয়ে অল্প করে আরো ১০ মিনিট জ্বাল দিতে হবে। সিরা যেন বেশি ঘন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। এরপর একটি বাটিতে খাবার পানি নিয়ে তাতে একটি রসগোল্লা ছেড়ে দিন। রসগোল্লা ডুবে গেলে মিষ্টি তৈরি। আর ভেসে থাকলে আরও মিনিট পাঁচেক জ্বাল দিয়ে নামাতে হবে।
খুলনা গেজেট/ আ হ আ