বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে এক গৃহিনী(৩০) সামাজিকভাবে স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে কীটনাশকের বোতল হাতে নিয়ে কথিত স্বামীর বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে। স্বীকৃতি না পেলে তিনি ওই বাড়ির সামনে উপস্থিত সকলকে কীটনাশক পানের হুমকী দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে হোগলাবুনিয়া ইউনিয়নের পাঠামারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিকেল ৩ টা পর্যন্ত কথিত স্বামী জিয়াউর রহমানের বাড়ির সামনে অবস্থান করেন ওই নারী। এক পর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বজনেরা তাকে একই গ্রামের পিতা আলমগীর শেখের বাড়িতে পৌছে দেন। খবর পেয়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আকরামুজ্জামান, থানা পুলিশ ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই গৃহিনীর অভিযোগ শোনেন এবং দ্রুত উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহনের আশ্বাস দেন।
ওই গৃহিনী বলন, ‘প্রায় ৮ বছর আগে থেকে দূর সম্পর্কের মামাতো ভাই একই গ্রামের জিয়াউর রহমান হাওলাদারের সাথে তার প্রেম ও শারিরীক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৬ সালে কাবিন নামামূলে জিয়াউর রহমানের সাথে খুলনার নিরালা এলাকায় বিবাহ সম্পন্ন হয়। পরে সেখানে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করেন। এরপরে দুবাই চলে যান ওই নারী। দুবাই থেকে ‘স্বামী’ জিয়াউর রহমানের নিকট বিভিন্ন সময় ১০ লাখ টাকা পাঠান। ২০২১ সালে দেশে ফিরেও কিছুদিন সংসার। জিয়াউর রহমান চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে হজ্ব করে দেশে ফেরার পর ওই গৃহিনীর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন’।
হোগলাবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আকরামুজ্জামান বলেন, ওই গৃহিনীর অভিযোগ পেয়ে উভয় পক্ষকে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। ৩০ এপ্রিল ধার্যকৃত তারিখ রয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জিয়াউর রহমান বলেন, ‘ঘটনাটি সম্পূর্ণ সাজানো এবং প্রতারণামূলক। একই গ্রামের হওয়ায় তাকে আমি চিনতাম। ফোনে কয়েকবার কথা হয়েছে। পরে আর কিছু হয়নি। তার সাথে কখনো খুলনায় বাসাভাড়া নিয়ে থাকিনি’।
এ সর্ম্পকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম তারেক সুলতান বলেন, খবর শুনে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশ ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদেরকে পাঠিয়ে ওই নারীকে আত্মহত্যার পথ থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে নিষ্পত্তির জন্য।
খুলনা গেজেট/ এসজেড