খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ চৈত্র, ১৪২৯ | ২৪ মার্চ, ২০২৩

Breaking News

  সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়ে বিএনপিকে নির্বাচন কমিশনের চিঠি
  রোজায় ব্রয়লার মুরগির কেজি সর্বোচ্চ ১৯৫ টাকা : ভোক্তা অধিকার
  ব্যয় সংকোচনে রোজায় গণভবনে ইফতার পার্টি না করার সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর
  খুলনায় আজ সেহরীর শেষ সময় ৪টা ৪৩ মিনিট

স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে কলেজ অধ্যক্ষের অফিসে নারী

লোহাগড়া প্রতিনিধি

লক্ষীপাশা মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষকে স্বামী দাবি করে গত বুধবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে অধ্যক্ষ’র দপ্তরে হাজির হলেন (৪০) বছর বয়সী এক নারী।

তিনি খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের ইব্রাহীম বিশ্বাসের মেয়ে লাভলী ইয়াসমীন (৪২) নিকটাত্বীয়দের সঙ্গে নিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ ফারুক হোসেন কে তার স্বামী বলে স্ত্রীর মর্যাদা পেতে চান। এ সময় অধ্যক্ষ’র রুমে থাকা কলেজের নারী শিক্ষকরা স্ত্রী দাবি করা লাভলীকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে লাভলী ইয়াসমীন তার নিকটাত্বীয়দের নিয়ে অধ্যক্ষ’র রুম থেকে বের হয়ে যান।

লাভলী ইয়াসমীন বলেন, অধ্যক্ষ ফারুক হোসেন আমাদের বাড়িতে লজিং থেকে বিএল কলেজে লেখাপড়া করতো। সে সময় অধ্যক্ষ ফারুক হোসেন বিএল কলেজে ছাত্র শিবিরের রাজনীতি করতো। ১৯৯৮ সালের ১০ই মে ইং তারিখে অধ্যক্ষ ফারুক হোসেনের সাথে পারিবারিক ভাবে আমার বিবাহ হয়। যার রেজিষ্টি কাবিন আছে । অধ্যক্ষ ফারুক হোসেন তার বাড়িতে পরে তুলে আনবেন বলে আমার বাবার বাড়িতে আমাকে রেখে আমার সাথে সংসার করেছেন। এবং সেই থেকেই নিয়মিত যাতায়াত করতেন। এবং আমার মা ও ভাইয়ের কাছ থেকে অনেক আর্থিক সুবিধা নিতেন। কয়েক মাস আগে আমার মা মারা গেলে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। আমি অনেক পরে জানতে পেরেছি অধ্যক্ষ ফারুক হোসেন আরেকটি বিবাহ করেছে। আমি এর বিচার ও স্ত্রীর স্বীকৃতি চাই যে কারনে আজ লক্ষীপাশা মহিলা ডিগ্রি কলেজে এসেছি।

এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ ফারুক হোসেন জানান, ১৯৮৩ সালে আমি দেয়াড়া গ্রামের ইব্রাহীম বিশ্বাসের বাড়িতে লজিং থাকতাম। ইব্রাহীম বিশ্বাসের মেয়ে লাভলী ইয়াসমীন সে সময় তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। পরবর্তীতে আমি পড়াশুনা শেষ করে বাড়িতে চলে আসি এবং শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেই। আমি ১৯৯১ সালে অভিভাবকদের মাধ্যমে যে মেয়েকে বিবাহ করি তিনি বর্তমানে সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করেন। লাভলী নামের ওই নারী কু-মতলবে, লোভের বশবর্তী হয়ে আমাকে স্বামী হিসেবে দাবি করছে।

খুলনা গেজেট/ বিএমএস

 




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!