খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ পৌষ, ১৪৩১ | ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

স্ত্রীর উপর রাগ করেই পর পর তিনজনকে গুলি করেন সৌমেন

গে‌জেট ডেস্ক

কুষ্টিয়ায় গুলি করে তিনজনকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সৌমেন রায় আজ রোববার ভোরেই বাসে করে খুলনা থেকে কুষ্টিয়ায় আসেন। এ সময় তিনি তাঁর সরকারি পিস্তল ও দুটি ম্যাগাজিনে ১২টি গুলি সঙ্গে নিয়ে আসেন। এরপর কথা–কাটাকাটি থেকে একে একে তিনজনকে গুলি করেন।

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এএসআই সৌমেন এমন তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) ফরহাদ হোসেন খান। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, পিস্তল–গুলি সরকারি কাজ ব্যতীত নিজ দায়িত্ব এলাকার বাইরে নিয়ে যাওয়ার কোনো নিয়ম নেই।

আজ বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পাশে শহরের পিটিআই সড়কের মুখে তিনতলা ভবনের সামনে আসমা খাতুন ও তাঁর ছয় বছর বয়সী ছেলে রবিন এবং শাকিল নামের এক যুবককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ আসমার স্বামী এএসআই সৌমেন রায়কে পিস্তলসহ আটক করেছে। সৌমেন খুলনার ফুলতলা থানায় কর্মরত। তাঁর বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলার আসপা গ্রামে।

জিজ্ঞাসাবাদে সৌমেন রায় বলেছেন, তাঁর স্ত্রী আসমার সঙ্গে শাকিলের সম্পর্ক ছিল। এ জন্য তিনি তাঁর স্ত্রীর ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। আজ রোববার ভোরে তিনি খুলনা থেকে বাসযোগে কুষ্টিয়ায় আসেন। এ সময় তিনি তাঁর পিস্তল ও দুটি ম্যাগাজিনে ১২টি গুলি সঙ্গে নিয়ে আসেন।

সৌমেন পুলিশকে বলেছেন, রোববার সকালে তিনি কুষ্টিয়া শহরের বাবর আলী গেটে আসমার মায়ের বাসায় পৌঁছান। এর আগে রাতেই আসমাকে তাঁর গ্রামের বাড়ি থেকে কুষ্টিয়া শহরে আসার কথা বলেছিলেন। সকালে আসমা ও তাঁর ছেলেকে নিয়ে খুলনায় যাওয়ার কথা বললে আসমা যেতে অস্বীকার করেন। আসমা তাঁকে জানান, তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক রাখবেন না, এমনকি শাকিলের সঙ্গেও না। এ সময় তিনি শাকিলকে ফোনে শহরের কাস্টমস মোড়ে আসতে বলেন। এদিকে আসমা ছেলেকে নিয়ে রিকশাযোগে কাস্টমস মোড়ে পৌঁছায়।

সৌমেনের ভাষ্য অনুযায়ী, সেখানে কথা–কাটাকাটির একপর্যায়ে প্রথমে শাকিলকে গুলি করেন তিনি। এরপর আসমাকে গুলি করেন। এ সময় শিশু রবিন দৌড়ে পালাতে গেলে তাকেও গুলি করেন। একটি ম্যাগাজিনের গুলি শেষ হয়ে গেলে আরেকটি ম্যাগাজিন ব্যবহার করেন।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনটি গুলি উদ্ধার করেছে। হত্যায় ব্যবহৃত পিস্তল ও দুটি ম্যাগাজিনও জব্দ করা হয়েছে। রাতে তাঁকে কুষ্টিয়া ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। সোমবার তাঁকে আদালতে নেওয়া হতে পারে বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

আসমার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আসমার আগে দুটি বিয়ে হয়েছিল। রবিন তাঁর দ্বিতীয় স্বামীর সন্তান। পাঁচ বছর আগে এএসআই সৌমেনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। সৌমেন কয়েক মাস ধরে আসমাকে নির্যাতন করতেন বলে অভিযোগ পরিবারের।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!