প্রায় দেড় বছর পর দ্বার খুলল শ্রেণিকক্ষের। কচিকাঁচার কলতানে আবারও মুখরিত হয়ে উঠবে শিক্ষা অঙ্গন। অনেক সোনামণির হয়তো এই প্রথম বিদ্যালয়ে পা রাখা। আবার অনেক বাচ্চারা হয়তো এই দীর্ঘ সময়ের বিরতিতে ভুলতে বসেছে বিদ্যালয়ের গণ্ডি। তাই নতুন করে আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাবর্তনে উৎসাহ-উদ্দীপনা উৎসব বিরাজ করছে। কিন্তু ভুলে গেলে চলবেনা মহামারির প্রাদুর্ভাব কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও একেবারে নির্মূল হয়নি। এখনো রোজ শনাক্তের হার হাজার ছাপিয় তাই সোনামণিদের বিদ্যালয়ে পাঠানোর পূর্বে অভিভাবকদের হতে হবে সতর্ক।
শুরুতেই শিশুকে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করুন। তাকে বিদ্যালয়ের পরিবেশ সম্পর্কে অবগত করুন। আপনার সুন্দর বিদ্যালয়ের গল্পগুলো তাকে শুনাতে পারেন। ফলশ্রুতিতে, দীর্ঘ দিনের বিরতিতে বিদ্যালয়ের প্রতি শিশুর অনীহা কমে যাবে।
এবারে তাকে স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে খুব ভালোভাবে অবগত করুন। তাকে সঠিকভাবে মাস্ক পরিধান, স্যানিটাইজেশন, দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়গুলো শিখিয়ে দিন হাতে কলমে। মনে রাখবেন, আপনার শিশু আপনাকে দেখেই শিখবে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে আপনাকেও হতে হবে বিশেষভাবে সতর্ক।
এবারে সবচেয়ে কঠিন বিষয়টি তাদের বুঝিয়ে দিতে হবে সহজভাবে ধৈর্য নিয়ে। বহুদিন পর বন্ধুদের সাথে সাক্ষাতে তারা যেন নিয়ম মেনে দূরত্ব বজায় রাখে। খুশিতে বন্ধুকে জড়িয়ে ধরা, হাতে হাত রেখে কতশত খেলার অভ্যাসগুলো থেকে বিরত থাকতে বলতে হবে কৌশলে। শিশুকে মহামারীর বিষয়টি বুঝিয়ে বলুন। ভাইরাসটি নির্মূল হলেই তারা নিজস্ব ভুবনে নিশ্চিন্তে খেলতে পারবে সেই গল্প তাদের করুন, তাদের দূরত্ব বজায় রেখে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভাইরাসটিকে হটিয়ে দিতে সহায়তা করতে বলুন।
হাঁচি- কাশি দেওয়ায় সঠিক নিয়ম তাকে শিখিয়ে দিন। স্কুল ব্যাগ গোছাতে বইয়ের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় টিস্যু, হ্যান্ডস্যানিটাহজার, ওডোমাস, ব্যান্ডএইড, অতিরিক্ত মাস্ক নিতে শেখান।
ব্যবহৃত মাস্ক কখনো পুনরায় ব্যবহার করা যাবেনা তাকে জানান। এবং ভাইরাসটি যে ছোঁয়াচে, বন্ধুর স্পর্শেই এই রোগ ছড়াতে পারে সেটি জানান। তাই শার্পনার, পেন্সিল, পানির বোতল আদানপ্রদান করা যাবেনা তাকে বুঝিয়ে বলুন এবং প্রয়োজনে তাকে অতিরিক্ত সঙ্গে দিয়ে দিন।
সর্বোপরি, করোনাভাইরাসের পাশাপাশি অন্যান্য অসুখ বিসুখ থেকেও থাকতে হবে সর্তক। বর্তমানে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে, তাই হাত পা ঢাকা পোশাক পরিয়ে দিন আপনার শিশুকে। সেইসাথে ওডোমাস সহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী শিশুর সাঙ্গে রাখুন এবং ব্যবহার শেখান।
খুলনা গেজেট/এনএম