খুলনা, বাংলাদেশ | ১২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৭ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৯০
  কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বাসা থেকে ২ সন্তানসহ বাবা-মায়ের মরদেহ উদ্ধার
  কুমিল্লায় অটোরিকশায় ট্রেনের ধাক্কায় নিহত বেড়ে ৭

সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল সংযোগ সড়কটি বেহাল, সীমাহীন দুর্ভোগ

একরামুল হোসেন লিপু

বিভাগীয় শহর খুলনার গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়কে ইটের সোলিং সত্যিই অকল্পনীয়। দীর্ঘদিন ধরে সড়করটির বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। সড়কটি দিয়ে যখন চার চাকার গাড়িগুলো চলাচল করে তখন ধূলায় সড়কসহ পার্শ্ববর্তী এলাকা ধুলোময় পরিবেশের সৃষ্টি হয়। সড়কের দু’পাশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং ঘরবাড়িগুলো ধূলার আবরণে ছেয়ে যায়। পথচারীদের চলাচলে নাভিশ্বাস উঠে। বর্ষা মৌসুমে যানবাহন চালক এবং পথচারীদের দুর্ভোগ আরো বেড়ে যায়। সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কটি কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে।

বেহাল এই সড়কটির নাম সোনাডাঙ্গা আউটার বাইপাস সড়ক,স্থানীয়ভাবে যা সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল সংযোগ সড়ক হিসেবে পরিচিত। সড়কটি খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ)’র নিয়ন্ত্রণাধীন। প্রতিদিন সড়কটির দিয়ে শত শত যানবাহন চলাচল করে থাকে। বিশেষ করে সাতক্ষীরা, মোংলা, বাগেরহাট, ফকিরহাট, টেকেরহাট, বরিশাল, বরগুনা, পিরোজপুরগামী বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাসগুলো সোনাডাঙ্গা আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল হতে যাত্রী নিয়ে সড়কটি দিয়ে আসা-যাওয়া করে থাকে। সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল হতে ময়ূর ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়কটির এ বেহাল অবস্থা দীর্ঘদিনের।

সড়কের পাশে ব্যবসায়ীদের থেকে জানা যায়, বছরখানেক হলো সড়কটিতে ইটের সোলিং করা হয়েছে। ইতিপূর্বে সড়কটিতে ইটের সোলিং ও ছিলো না। যানবাহন চলাচলের জন্য সড়কটি ছিলো মরণফাঁদ। সড়কের মাঝখানে বড় বড় গর্ত তৈরী হয়েছিলো। বর্ষা মৌসুমে কর্দমাক্ত পরিবেশ বিরাজ করতো। এমন দুরবস্থার কারণে সড়কটি দীর্ঘদিন যান চলাচল বন্ধ ছিলো।

সড়কটি সংস্কারের জন্য ২০২২ সালের শুরুতে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এক বছর অতিবাহিত হলেও সেই প্রকল্প আলোরমুখ দেখেনি। যার কারণে মানুষ ও যানবাহনের যাতায়াত দুর্ভোগ দূর হয়নি।

কেডিএ’র এর নির্বাহী প্রকৌশলী (প্রকল্প) মোরতোজা আল মামুন খুলনা গেজেটকে বলেন, চার লেনে উন্নীতকরণ করা হবে সড়কটি। সড়কের দু’পাশে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রেখে ড্রেন নির্মাণ করা হবে। পথচারীদের চলাচলের জন্য ড্রেনের উপর দিয়ে ফুটপাতের ব্যবস্থা রাখা হবে। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা গত বছরের মার্চে আমরা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫ কোটি টাকা।

তিনি, প্রস্তাবনাটির অগ্রগতি অনেক দূর এগিয়েছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাবনাটি পুনরায় স্টাডি করে, এনালাইসিস করে দিতে বলেছে। সেটি করে আগামী মাসে আমরা পাঠাবো। আমরা চেষ্টা করছি চলতি বছরের জুনের ভেতর প্রকল্পটি অনুমোদন করিয়ে জুলাই মাসে টেন্ডার আহবান করতে। আশা করি আগামী এক দেড় বছরের মধ্যে আমরা কাজটি সম্পন্ন করতে পারবো।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!