খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ পৌষ, ১৪৩১ | ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

সেলফি তুলতে গিয়ে প্রাণ গেল স্কুলছাত্রীর, বান্ধবী হাসপাতালে

গে‌জেট ডেস্ক

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় বান্ধবীর সঙ্গে সেলফি তোলার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে খাদিজা খাতুন (১৩) নামে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরেক কিশোরী হালিমা খাতুন। মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) বিকেলে একটি ইটভাটার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পরই দুই বান্ধবীকে উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। খাদিজার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। সেখানে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত খাদিজা খাতুন আলমডাঙ্গা উপজেলার ১নং ভাংবাড়ীয়া ইউনিয়নের হাটুভাঙ্গা গ্রামের মাঠপাড়ার রাজমিস্ত্রি আজির উদ্দিনের মেয়ে ও হাটবোয়ালিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

আহত হালিমা খাতুন একই এলাকার ট্র্যাক্টর চালক আফাজ উদ্দিনের মেয়ে এবং একই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সাহিবুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে দুই বান্ধবী এলাকার একটি ইটভাটার মাটির স্তূপের উপর উঠে মোবাইল ফোনে সেলফি তুলছিল। এসময় অসাবধানতায় ১১ হাজার ভোল্টেজের বৈদ্যুতিক তারে হাত লাগলে স্পৃষ্ট হয়ে দুই বান্ধবী গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। আহত হালিমা খাতুন শঙ্কামুক্ত হলেও খাদিজা খাতুনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসকরা। সেখানে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খাদিজা খাতুনের মৃত্যু হয়। আহত হালিমা খাতুনের অবস্থা শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

তিনি আরও বলেন, দুই ভাই বোনের মধ্যে খাদিজা খাতুন ছিল ছোট। একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে বাবা-মা পাগল প্রায়। খাদিজা খাতুনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ইটভাটার মাটির স্তূপের উপরে উঠে দুই বান্ধবী সেলফি তুলছিল। এসময় ১১ হাজার ভোল্টেজের বৈদ্যুতিক তারে অসাবধানতাবশত স্পৃষ্ট হয়ে দুজনই আহত হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে খাদিজা খাতুনের মৃত্যু হয়। আহত হালিমা খাতুন আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। সব ধরনের আইনি প্রক্রিয়া শেষে বুধবার ভোরে মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হবে।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!