ফেনির একটি বাসা-বাড়ির সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে নিহত ৩ ভাইয়ের জানাজা এবং দাফন তাদের গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের পঞ্চকরণ গ্রামে সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার(২৮ জুলাই) সকাল দশটায় পঞ্চকরন গ্রামে জানাজা শেষে ৩ ভাইয়ের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে তাদের মা-বাবার পাশেই দাফন করা হয়।
এর পূর্বে বুধবার গভীর রাতে তাদের ছোট ভাই আল-আমিন মুন্সি ফেনী থেকে নিহত তিন ভাইয়ের লাশ নিয়ে পঞ্চকরণ গ্রমের বাড়ি পৌছালে সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। এলাকা জুড়ে নামে শোকের ছায়া।
সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে নিহত ৩ ভাই হলো উপজেলার পঞ্চকরণ ইউনিয়নের পঞ্চকরণ গ্রামের সৈয়দ আলী মুন্সীর ছেলে মো. নুরুল ইসলাম মুন্সী(৫৫), মো.মনিরুল ইসলাম মুন্সী(৫০) ও আবদুর রহমান মুন্সী(৪৫)। জীবীকার প্রয়োজনে তারা ৩ ভাই নিজেদের পরিবার-পরিজন বাড়িতে রেখে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে ফেনিতে বসবাস করে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করে আসছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত তাদের জানাজায় নামাজে বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আমিরুল আলম মিলন, মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম, ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মজুমদারসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত হাজার হাজার মানুষ শরীক হয়। জানাজা শেষে জেলা প্রশাসনের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম নিহত প্রত্যেক পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে নগদ সহায়তা প্রদান করেন।
প্রসঙ্গত, ফেনী শহরের নাজির রোড এলাকার রহুল আমিন ভবনের নিচতলায় সেপটিক ট্যাংকের ওপরের কক্ষে ওই তিন ভাই বসবাস করতেন এবং ফেনী শহরে দিনমজুরের কাজ করতেন। গত ২৬ জুলাই মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই ভবনের নিচতলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিকট শব্দে বিস্ফোণের পর পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে প্রথমে দুই ভাইকে উদ্ধার করে ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। একই সময় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে মৃত অবস্থায় তাদের অপর ভাইয়ের লাশও উদ্ধার করেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই