যশোরের অভয়নগরে মো. হুসাইন শেখ নামে এক যুবককে সেনাবাহিনীর সদস্য পদে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে চার লাখ পাঁচ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) দুপুরে নওয়াপাড়া প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রতারণার শিকার হুসাইন শেখের পিতা মো. বাবুল শেখ।
তিনি তাঁর লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়নের কোটা গ্রামের বাসিন্দা। আমার বড় ছেলে মো. হুসাইন শেখকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে একই গ্রামের আব্দুল আজিজ শেখের ছেলে মো. নাজমুল হোসেন শেখ। ছেলের চাকুরী হবে ভেবে আমি তার ৮ লাখ ১০ হাজার টাকার প্রস্তাবে রাজি হয়। ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর পায়রাহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহম্মদ আলী মাস্টার, কোটা গ্রামের রফিক মিস্ত্রি, শেখ মোহাম্মদউল্লাহ ও আসলাম সরদারের উপস্থিতিতে মো. নাজমুল হোসেন শেখের হাতে চার লাখ পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
তিনি আরো বলেন, ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি নাজমুল হোসেন আমার ছেলের সেনাবাহিনীতে চাকুরী হয়েছে বলে যোগদান করাতে চট্রগ্রামে নিয়ে যায়। কয়েকদিন পর নাজমুল বাকি টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে। এক পর্যায়ে আমি আমার ছেলের সাথে কথা বলতে চাইলে নাজমুল প্রতারণা শুরু করে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি নাজমুল মোবাইল করে বলে হুসাইন অসুস্থ হয়ে পড়েছে তাকে বাড়ি নিয়ে আসেন। একদিন পর আমি চট্রগ্রামের হালি শহরের একটি বাসা বাড়ি থেকে আমার ছেলেকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে যশোরের একতা হাসপাতালে ভর্তি করি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত প্রতারণার শিকার হুসাইন শেখ বলেন, নাজমুল হোসেন আমাকে চট্রগ্রামের হালি শহরে নিয়ে একটি বাসা বাড়িতে আটকে রাখে। এবং আমার কাছে থাকা মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। আমাকে সেনাবাহিনীর কোন ক্যাম্পে নিয়ে প্রশিক্ষণ দেয়নি। আমি এই প্রতারক নাজমুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এ ব্যাপারে মো. নাজমুল হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি চার লাখ পাঁচ হাজার টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, সেনা সদস্যের প্রশিক্ষণ চলাকালে হুসাইন অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তার বাবা মো. বাবুল শেখ চট্রগ্রাম সেনানিবাস থেকে তাকে নিয়ে আসে। আমার বিরুদ্ধে তার পরিবার মিথ্যাচার করছে।
সংবাদ সম্মেলন চলাকালে উপস্থিত ছিলেন, হুসাইনের চাচা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রসুল তরফদার, শামিম হোসেন বিশ্বাস, জুলফিকার শেখ, মো. জাহিদুল ইসলাম, শেখ মোহাম্মদউল্লাহ ও প্রতারণার শিকার মো. হুসাইন শেখ।
খুলনা গেজেট/কেএম