সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বৃহস্পতিবার তাইওয়ান সীমান্তে পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) কমান্ড পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ নির্দেশ দেন।
চীনা প্রেসিডেন্ট মনে করেন, বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক অস্তিরতা বাড়ায় চীনের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়েছে। তাই তিনি সেনা সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, বর্তমান সময়ে বিশ্ব অস্থিরতা ও পরিবর্তনের এক নতুন সময়ে প্রবেশ করেছে এবং আমাদের দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি দিন দিন আরও বেশি অনিশ্চয়তার ঝুঁকির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তাই মনে লড়াই করার মতো সাহস আনুন, দক্ষ হয়ে উঠুন এবং জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তাকে দৃঢ়ভাবে রক্ষা করুন।
চীনা প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, যুদ্ধ এবং যুদ্ধের পরিকল্পনাকে আরও গভীর করা প্রয়োজন, প্রকৃত যুদ্ধের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণে ফোকাস করুন এবং জয়ের জন্য আমাদের সক্ষমতার উন্নতি ত্বরান্বিত করুন।
শি জিনপিং এমন সময় নিজ দেশের সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে বললেন যখন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়নের জন্য বৈঠক করতে মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বেইজিংয়ে অবস্থান করছেন।
মূলত তাইওয়ান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের ক্রমবর্ধমান তিক্ততার কারণেই শি সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। গত শতকের পঞ্চাশের দশকে ‘তাইওয়ান চুক্তি’ নামের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ওয়াশিংটন ও তাইপের মধ্যে। সেই চুক্তি অনুযায়ী এই তাইওয়ানকে নিয়মিত সামরিক সহায়তা ও অস্ত্র বিক্রির প্রতিশ্রুতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এই চুক্তি নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছে বেইজিংয়ের।
দ্বীপ-ভূখণ্ড তাইওয়ান একসময় চীনের মূল ভূখণ্ডের অংশ ছিল। ১৯৪৯ সালে মাও সে তুংয়ের নেতৃত্বে কমিউনিস্টরা বেইজিং দখল করলে তৎকালীন শাসকরা তাইওয়ানে পালিয়ে যান, দ্বীপটিও চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
খুলনা গেজেট/এনএম