দীর্ঘ অপেক্ষার পর সাফল্য মিলল বাংলাদেশের। তাও আবার অভিষিক্ত শরিফুল ইসলামের হাত দিয়েই। সেঞ্চুরিয়ান দিমুথ করুনারত্নে দ্বিতীয় টেস্টেও ডাবল হাঁকাবেন কি না সে প্রশ্নই জেগেছিল। মধ্যাহ্নভোজ বিরতির পর সেভাবেই খেলে যাচ্ছিলেন। অবশেষ তার ব্যাটকে থামালেন পঞ্চগড়ের ৬ ফুট ২ ইঞ্চির পেসার শরিফুল ইসলাম।
মাত্র ২৮ রানে জীবন পাওয়া করুণারত্নে হাঁকালেন সেঞ্চুরি। এরপর ব্যক্তিগত সংগ্রহকে বাড়িয়ে নিচ্ছিলেন। ১৯০ বল খেলে ১১৮ রান যোগাড় করে ফেলেন লংকান অধিনায়ক। এসময় শরিফুল বল ঠিকমতো ব্যাটে বলে হয়নি তার। ব্যাট ছুঁয়ে সোজা চলে যায় উইকেটরক্ষক লিটন দাসের গ্লাভসে।
সাদা জার্সির আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শ্রীলংকার অধিনায়ককে দিয়ে রাঙালেন শরিফুল। এ প্রতিবেদন লেখার সময় শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ১ উইকেটে ২০৯।
আজ তাসকিন, জায়েদ, শরিফুল আর মিরাজকে মোকাবিলা করে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন করুণারত্নে। ১৬৫ বল খেলে ১৩ বাউন্ডারি হাঁকিয়ে তিন অংকের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছান তিনি। অথচ অর্ধশতকই কপালের জুটত না তার। এর জন্য নাজমুল হোসেন শান্তকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারেন অধিনায়ক মুমিনুল হক।
দ্বিতীয় টেস্টেও শুরু থেকেই দুর্দান্ত বল করছিলেন পেসার তাসকিন আহমেদ। ২০তম ওভারে তার শেষ বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন আগের টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া লংকান অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে।
হাতে বল পেয়েও ক্যাচ ধরে রাখতে পারেননি শান্ত। স্লিপ ফিল্ডারদের জন্য কঠিন কোনো ক্যাচ ছিল না তা। ক্রিকেটীয় ভাষায় দ্বিতীয় জীবন করুনারত্নে। এক বল পরই দলীয় ৫০ রান ছাড়ায় শ্রীলংকা।
খুলনা গেজেট/ এস আই