দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে নেই বাংলাদেশ। মাঝে অনেকগুলো বছর বাছাইপর্ব শেষে সুপার টেনের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছিল। তবে সেখানেও স্মৃতিগুলো খুব একটা সুখকর না। মোটাদাগে হিসেব করলে গ্রুপপর্ব পার করাই হয়নি বাংলাদেশের। সেদিক থেকে এবারের বিশ্বকাপে এই সুযোগ আছে বেশ ভালোভাবেই।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরুর সুবাদে সুবিধাজনক অবস্থায় ছিল টাইগাররা। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে পারলে সহজ হতো সমীকরণ। তবে ৪ রানের হারে সেখানে ছেদ পড়েছে। এরপরেও সুপার এইটে যাওয়ার সুযোগ আছে বাংলাদেশের। সেজন্য গাণিতিক হিসেবের লম্বা এক পথ অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের জন্য। বৃহস্পতিবার রাতে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে যার শুরু হবে।
ডাচদের বিপক্ষে জয় পেলে বাংলাদেশের পয়েন্ট হবে চার। আর যেহেতু শ্রীলঙ্কার এই পয়েন্ট অর্জন করা আর কোনোভাবেই সম্ভব না, তাই তারা বাদ পড়ে যাবে। একই কথা নেদারল্যান্ডসের জয়ের বেলায় প্রযোজ্য। যার অর্থ, বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস ম্যাচ পরিত্যক্ত না হলেই বাদ শ্রীলঙ্কা।
ডি গ্রুপে আগেই দক্ষিণ আফ্রিকা নিজেদের জায়গা করে নিয়ে সুপার এইট পর্বে। শ্রীলঙ্কাও বাদ পড়ে গেলে বাকি একটি স্পটের জন্য লড়াই করবে তিন দল নেদারল্যান্ডস, নেপাল এবং বাংলাদেশ। আর ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা বিবেচনায় এখানে বাংলাদেশের সম্ভাবনাই থাকছে সবচেয়ে বেশি।
ধরে নেয়া যাক বাংলাদেশ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচে জয় পেয়েছে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের পয়েন্ট ৪। নেদারল্যান্ডসের পয়েন্ট হবে ২ আর নেপালের ১। এমন অবস্থায় শেষ ম্যাচে টাইগাররা নেপালের বিপক্ষে জয় পেলেই হবে। বাড়তি কোনো হিসেবনিকেশের প্রয়োজন হবে না।
তবে বাংলাদেশ যদি হেরে যায়, সেক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডসের পয়েন্ট হবে ৪ এবং বাংলাদেশের হবে ২। এমন অবস্থায় টাইগারদের অবশ্যই গ্রুপের শেষ ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে জিততে হবে। আর ব্যবধানও হতে হবে বড়। কারণ নেট রানরেট এক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে।
সেইসঙ্গে শ্রীলঙ্কা এবং নেদারল্যান্ডস ম্যাচে লঙ্কানদের জয় প্রার্থনা করতে হবে। তাহলে শ্রীলঙ্কার পয়েন্ট হবে তিন। নেদারল্যান্ডস আটকে থাকবে চার পয়েন্ট নিয়ে। আর বাংলাদেশেরও হবে ৪ পয়েন্ট। এমন অবস্থায় নেট রানরেটের ভিত্তিতে সুপার এইটে যেতে হবে টাইগারদের। যার অর্থ বাংলাদেশের কাছে দুই ম্যাচেই জয় দরকার। একটি ম্যাচও হারলে আসবে রানরেটের মারপ্যাঁচ। নাজমুল হোসেন শান্তর দল নিশ্চিতভাবেই হাঁটতে চাইবে না সেই পথে।
খুলনা গেজেট/এমএম