সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকারের সময় ৮ জেলেকে আটক করেছে বন বিভাগ। মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে সুন্দরবনের হারবাড়িয়া ভেরীর খাল এলাকা থেকে বিষসহ তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ৩টি কাঠের নৌকা, ৪টি জাল ও ২টি বড় বোতল ভর্তি ভারতীয় কিটনাশক জব্দ করা হয়েছে।
(
পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম জানায়, দীর্ঘদিন থেকে একদল বিষ দস্যু জেলে সেজে পাশ পারমিট নিয়ে সুন্দরবনের গহিনে গিয়ে গোপনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার করছে। এই বিষ দস্যু গ্রুপটিকে আটকের জন্য বহু দিন থেকে অভিযান চলিয়ে আসছিল চাঁদপাই বন বিভাগের সদস্যরা। আজ মঙ্গলবার গোপন সংবাদে জানতে পারে বনের স্টেশন অফিস থেকে পাশ পারমিট করে বিষ নিয়ে সুন্দরবনের হারবাড়িয়া এলাকার গহিনে যাচ্ছে একদল বিষ দস্যু। দুপুরের দিকে ওই কীটনাশক দিয়ে মাছ শিকার করছে এমন খবরের সূত্র ধরে রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলামের নির্দেশনায় ষ্মাট টিম ও হারবাড়িয়া টহল ফাঁড়ির সমন্নয়ে যৌথ অভিযানে নামে বনের বনরক্ষীরা। এসময় তাদের উপস্থিতি বুঝতে পেরে দ্রুত সেখান থেকে নৌকা-জাল নিয়ে পালানোর সময় ধাওয়া করে ৮জন জেলেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় বনবিভাগ। এরা হচ্ছে, আবু বকর মল্লিক (৫৮), কেরামত আলী (৫৫), মাহফুজ মল্লিক (২৫), টুটুল (২২), জাকির শেখ (২২), আবু বকর ছিদ্দিক (২১), সোহেল হাওলাদার (২০) ও মোঃ আদম আলী (২০) মোঃ আদম আলীর বাড়ী বাগেরহাট সদরে আর বাকিদের বাড়ী রামপাল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বলে জানায় রেঞ্জ কর্মকর্তা। সুন্দরবন থেকে আটকের সময় তাদের কাছ থেকে ৩টি কাঠের নৌকা, ৪টি ছোট ফাশের নিষিদ্ধ জাল, দুইটি বড় বোতলে ভারতীয় কীটনাশক ও কয়েক কেজি মাছ জব্দ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, যারা সুন্দরবনে পাশ পারমিট নিয়ে জেলে সেজে মাছ ধরার জন্য বনে বিষ দিচ্ছে তারা প্রকৃত জেলে না। তারা মূলত দস্যু। এদের কারণেই সুন্দরবনে শুধু মাছ নয়, সরকারের মূল্যবান বনজ ও মৎস্য সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে। এদের নির্মূল করতে না পারলে এক সময় সুন্দরবন থেকে মাছের ভান্ডার নষ্ট হবে। প্রচলিত বন আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দয়ের শেষে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় রেঞ্জ কর্মকর্তা।
খুলনা গেজেট/ টি আই