মোংলা বন্দর ও সুন্দরবনের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধিতে উপকুলের বেঁড়িবাধ ভেঙ্গে তলীয়ে গেছে। ব্যহত হচ্ছে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম । পশুর ও সুন্দরবনের নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে বনবিভাগ।
রাত ও দিনের দু’ফার জোয়ারের পানিতে সুন্দরবনের করমজল বণ্যপ্রানী প্রজনন কেন্দ্রসহ প্লাবিত হয়েছে বনাঞ্চলের অনেকাংশ। ফলে বাঘ-হরিন সহ বণ্যপ্রানীরা গভীর বনের উচু স্থানে অবস্থান করতে দেখা গেছে বলেও জানায় বনকর্মীরা।
সুন্দরবনের করমজল বণ্যপ্রানী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শনিবার ২২ আগষ্ট দুপুর পর্যন্ত ভরা কাঠালের প্রভাবে জেয়ারের পানি বৃদ্ধির ঘটনা বিরল।
গত ২০ বছরের মধ্যে সুন্দরবনের নদী ও খালে জোয়ারের পানি বৃদ্ধির রেকর্ড ভেঙ্গেছে। নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রজনন কেন্দ্রের কুমির,হরিন,কচ্চপও বানর সহ সকল প্রাণীকে বেড়ীগেট দিয়ে নিরাপদে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভর করেই টিকে আছে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ও প্রাণীকুল। তাই জোয়ারের প্লাবন ও বনের অভ্যন্তরের পানি বেড়ে যাওয়ায় প্রাণীকুলের বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দিতে পারে।
তবে নদীর পানী এখনও মিস্টি থাকায় বনের অভ্যান্তরে পুকুর গুলোতে তেমন সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে বণ্যপ্রানীর ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলেও নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য সার্বিক বিষয় নজরদারী ও শংকায় রয়েছে তারা।
খুলনা গেজেট/নাফি