ইফতারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে পরিবারের সবাইকে অজ্ঞান করে দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাতে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের তিন আসামিকে আটক করেছে পুলিশ।
অভিযুক্তরা হলেন দোয়ারাবাজার উপজেলার কাঁঠালবাড়ি গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে রিপন মিয়া (৪৫), একই উপজেলার বাংলাবাজারের নিজাম উদ্দিনের ছেলে জসিম উদ্দিন, কাঠালবাড়ি গ্রামের ১৩ বছর বয়সী অপর এক কিশোর।
ভিকটিম এতিম স্কুলছাত্রীর পক্ষে শনিবার রাতেই থানায় তার ফুফাতো ভাই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
ভিকটিম ও মামলার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বোগলাবাজারে দাদা-দাদির হেফাজতে ১৫ বছর বয়সী এতিম কিশোরী একটি মাধ্যমিক স্কুলে দশম শ্রেণিতে লেখাপড়া করতেন। শুক্রবার বিকালে রমজান মাসকে সামনে রেখে মানবিক পরিচয়ে অপর এক কিশোরকে দিয়ে বোগলাবাজারে থাকা স্কুলছাত্রীর দাদা বাড়িতে কোমল পানীয় শরবত ও ইফতারসামগ্রী পাঠায় একাধিক মামলার আসামি রিপন ও তার সহযোগী জসিম। ইফতারি খেয়ে পরিবারের সবাই অজ্ঞান হয়ে পড়লে সন্ধ্যা ৭টা হতে রাত দেড়টার মধ্যে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় স্কুলছাত্রীকে কয়েকবার ধর্ষণ করে রিপন। শনিবার সকালে ওই স্কুলছাত্রীর জ্ঞান ফিরলে গ্রামবাসী, স্বজন, থানা পুলিশকে ঘটনা জানায়।
শনিবার রাতে দোয়ারাবাজার থানার ওসি মোহাম্মদ নাজির আলম বলেন, রিপনের নামে এ ধর্ষণ মামলা ছাড়াও চুরি, ডাকাতি, মাদক চোরাচালান, অজ্ঞান পার্টির পেশাদার সদস্য হিসাবে থানায় আরও ৯টি মামলা রয়েছে। জসিম মূলত রিপন ও অন্যদের কাছে লোকজনকে অজ্ঞান করার জন্য নেশাদ্রব্য বিক্রয় করত বলেও জানান ওসি।
খুলনা গেজেট/এনএম