পান চাষ করে খাই। পরিবারে বৃদ্ধা মা ও স্ত্রী-সন্তান। পানের বরাজে হঠাৎ করে টাকার দরকার। অনেকের কাছে হাত পেতেছি। কোন ধার মেলেনি। বাধ্য হয়ে ক্ষেতের পান বাঁচাতে বড়গুনি গ্রামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে শতকরা ৫ টাকা হারে ৩০ হাজার টাকা সুদে নিলাম।
সতের মাস পরে ৪৬ হাজার টাকা পরিশোধ করতে গেলে ওরা গাছের সাথে বেঁধে আমার উপর মধ্যযুগীয় বর্বর নির্যাতন করে।
প্রায় দেড় মাস চিকিৎসা শেষে গত ৬ আগস্ট থানায় লিখিত অভিযোগ করি। তারপরেও প্রভাবশালী ওই সুদ কারবারী আমাকে হুমকি-ধামধি দিচ্ছে। ১০ আগষ্ট সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের এভাবেই নিজের উপর নির্মম নির্যাতনের বর্ণণা দিলেন পান চাষি সঞ্জয় কুমার মজুমদার (৪০)।
উপজেলার বড়বাড়িয়া ইউনিয়নের বড়গুনি গ্রামের মৃত-হরসিত মন্ডলের ছেলে সঞ্জয় কুমার মজুমদার আরো জানান, গত ২৫ জুন বিকেলে সুদে নেয়া ৩০ হাজার টাকার সুদসহ ৪৬ হাজার টাকা পরিশোধ করতে তিনি সুদ কারকারীর গ্রামের বাড়িতে যান। ৪৬ হাজার দেয়ার পর সে আরও ৯ হাজার টাকা দাবী করে। তখন সঞ্জয় ৪ হাজার টাকা দিতে চাইলে তার লোকজন তাকে সুপারি গাছের সাথে বেধে মধ্যযুগীয় বর্বর নির্যাতন শুরু করে।
পরে সঞ্জয়ের বৃদ্ধা মা যশোদা মজুমদার তাকে নিয়ে গোপালগঞ্জ একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করেন। সেখানে তার চিকিৎসকরা অস্ত্রপাচার (অপারেশন) করেন। প্রায় দেড় মাস সেখানে চিকিৎসা শেষে গত ৬ আগস্ট তিনি বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শরিফুল হক জানান, মাদক ও সুদ কারবারীদের বিরুদ্ধে চিতলমারী থানা পুলিশ জেহাদ ঘোষণা করেছে। এ ধরনের কোন অভিযোগ তার কাছে পৌঁছায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই বিষয়টি গুরুত্বে সাথে দেখা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
খুলনা গেজেট / এনআইআর