খুলনা, বাংলাদেশ | ২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৭ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  বিচার বিভাগকে ঘুষ ও দুর্নীতিমুক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে : ড. ইউনূস
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৩৮৯
  পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকেও আমরা ভারত থেকে ফেরত চাইব : প্রধান উপদেষ্টা

সুদানে বাংলাদেশের দূতাবাস ও দূতের বাসায় গুলি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

বাসায় গুলি হয়েছে ১০ দিন আগে, সুদানে বিবদমান দুই পক্ষের গোলাগুলির একবারে প্রাথমিক পর্যায়ে আক্রান্ত হয়েছে বাংলাদেশ দূতের বাসভবন। তারপরও খার্তুমেই ছিলেন বাংলাদেশের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স তারেক আহমেদ। তবে চ্যান্সরিতে উপর্যুপরি হামলার পর রোববার রাজধানী ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। সুদানের বাংলাদেশ দূতাবাসের বরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাতে মানবজমিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

জানিয়েছে, গত ১৫ই এপ্রিল বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত (চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স) তারেক আহমেদের বাসায় আঘাত হানে মেশিনগানের গুলি। ২২ এপ্রিল বাংলাদেশ দূতাবাসের জানালা ও দেয়াল ভেদ করে মেশিনগানের গুলি ঢুকে পড়ে। তবে গোলাগুলির এই দুই ঘটনায় বাংলাদেশ দূতাবাসের কেউ হতাহত হননি।

সুদানে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব নিয়ে দুই বাহিনীর লড়াইয়ের মধ্যে হাজার দেড়েক বাংলাদেশি আটকা পড়েছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে খার্তুমের বাইরে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা দেশটিতে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের নিরাপদে দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।

জানা গেছে, সুদানে সংঘাত শুরুর পর থেকে ঢাকার সঙ্গে খার্তুমে বাংলাদেশ দূতাবাসের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের কূটনীতিকদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত খার্তুমে অবস্থান করে কাজ চালিয়ে গেছেন।

পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ঢাকার পরামর্শে তিনি খার্তুম থেকে প্রায় আড়াইশ’ মাইল দূরের জাজিরা প্রদেশের মাদানি শহরে অবস্থান করছেন। সেখানে অবস্থান করেই বাংলাদেশের নাগরিকদের নিরাপদে ফেরানোর প্রক্রিয়ায় যুক্ত আছেন।

সেগুনবাগিচা জানায়, ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত গত সোমবার সবশেষ বার্তায় পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিনটি বিকল্পের কথা উল্লেখ করেন। তিনি সুদানে অবস্থান করেই বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টিতে জোর দেন। আপাতত খার্তুম থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসতে আগ্রহী লোকজনকে বাসে করে পোর্ট অব সুদানে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এরপর জাহাজ বা ফেরিতে করে তাদের সৌদি আরবে সরিয়ে নেয়া হবে। সেখান থেকে দেশে ফেরত আনা হবে।

একটি সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত চার শতাধিক বাংলাদেশি দেশে ফিরতে আগ্রহ দেখিয়েছেন। গত দুই দিনে গোলাগুলি খানিকটা কমে আসায় অনেকে এখনই ফিরতে চাইছেন না। এই পরিস্থিতিতে প্রথম দফায় পাঁচশ’ বাংলাদেশিকে ফেরানোর প্রস্তুতি রয়েছে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!